রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিচারপতি দলের ডিভিশন বেঞ্চ তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এর আগে, ২৯ আগস্ট রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় লতিফ সিদ্দিকীসহ আরও ১৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত দেয় আদালত। মামলাটি দায়ের করেন শাহবাগ থানার এসআই মো. আমিরুল ইসলাম। ঢাকার মহানগর যুব ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
অন্য আসামিদের মধ্যে ছিলেন- মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, মঞ্জুরুল আলম, কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খাঁন, মো. আমির হোসেন সুমন, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহাম্মদ আলী এবং আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।
সেদিন মামলা তদন্তের জন্য দায়ের করেন शाहবাগ থানার এসআই তৌফিক হাসান। তারা আসামিদের কারাগারে রাখার জন্য আবেদন করেন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনা দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৮ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে ঢাকার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটোরিয়ামে ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে অংশ নিয়ে, লতিফ সিদ্দিকী দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করে সরকার পতনের ষড়যন্ত্রের কথা বলেন এবং অন্যদের প্ররোচিত করেন। এরপর, ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া ৭০ থেকে ৮০ জনের মধ্যে থেকে ১৬ জনকে পুলিশ আটক করে।
পুলিশ জানায়, সংগঠনটি ‘মঞ্চ ৭১’ ৫ আগস্ট আত্মপ্রকাশ করে। এর লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও তা থেকে সচেতনতা গড়ে তোলা। তবে, পুলিশের ধারণা, সংগঠনের পেছনে সরকারের পতনের ষড়যন্ত্রের কার্যক্রমও চলছিল।

















