নিউইয়র্কের নতুন মেয়র জোহরান মামদানির নির্বাচনের পরবর্তীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন যে, এই বিজয় দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন যে, এখনো শহরটি ‘কমিউনিস্ট শহর’ হয়ে যাওয়ার পথে এগোচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, “আমরা বিষয়গুলো দেখছি” এবং স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা দেননি কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব হ্রাস পেয়েছে। ট্রাম্পের মতে, নিউইয়র্ক এখন ‘কমিউনিজম’ এর রাজত্বে চলে গেছে বলে তিনি দাবি করেন এবং ফ্লোরিডাকে চরম পন্থা থেকে মুক্ত করার জন্য প্রস্তুত বলেও উচারে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, সামনের দিনগুলোতে এই শহরকে বাঁচানো ও উন্নত করার জন্য মার্কিনিদের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে— কমিউনিজম গ্রহণ করবেন, নাকি যুক্তিসঙ্গত উন্নয়ন ও সমঝোতা।
ট্রাম্প তার নির্বাচনী জয়ের এক বছর পূর্তিতে মন্তব্য করেন, “আমরা আমাদের অর্থনীতি উদ্ধার করে স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি এবং একসঙ্গে দেশকে রক্ষা করেছি।” এরপরেই তিনি জানান, মামদানির বিজয়ে তিনি সহযোগিতার বিষয়েও আগ্রহী এবং বলছেন, “হয়তো তাকে একটু সাহায্য করব।” ট্রাম্প এই বক্তব্য দেন ডেমোক্র্যাট তারকা কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে জয়ের এক বছর উপলক্ষে বক্তৃতায়।
অবশ্য, ব্যবসায়ী মহল, রক্ষণশীল গণমাধ্যম এবং ট্রাম্পের কঠোর সমালোচকদের মতামতের মাঝেই, অত্যন্ত অপ্রত্যাশিতভাবে, অপশনটিতে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটে নিউইয়র্কের নতুন মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন মামদানি। ভোটের পর তিনি বলেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয় ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চান। মুসলিম অভিযাত্রীর এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জানান, তিনি নিজেকে বহির্বাগত থেকে উঠে আসা একজন outsider হিসেবে দেখেছেন এবং এখন তিনি চমকে দিয়েছেন সবাইকে। তিনি মজার ছলে বলেন, “হোয়াইট হাউস থেকে এখনও আমাকে অভিনন্দন জানানো হয়নি।”
মামদানির বক্তব্যে স্পষ্ট করে দেন, নিউইয়র্কবাসীর কল্যাণে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আরও কার্যকর আলোচনা করতে চান, বিশেষ করে জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর পরিকল্পনায়। তিনি মনে করেন, ট্রাম্পের মতো করে আমাদেরও সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি যোগ করেন, “আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করলে নিউইয়র্ক আরও সুন্দর এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।”






















