ঢাকার আদালত Juli স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি সাংঘর্ষিক মামলা গ্রহণ করেছে। অভিযোগ, সম্প্রতি July যোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলমকে মারধর ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় এই মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার কাঁচপুর ব্রিজের কাছে, যেখানে গত বছর জুলাইয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় জাহাঙ্গীর গুলিবিদ্ধ হন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি বরাবরই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন এবং আহত ও শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই ফাউন্ডেশনের সাহায্য চেয়েছিলেন।
অভিযোগের অনুযায়ী, ২৭ মে দুপুরে জাহাঙ্গীর ফাউন্ডেশনের অফিসে যান এবং সেখানে আসামিদের সঙ্গে দেখা করেন। কিছু কাগজপত্র দেখানোর পর, অব্যাহত চাপ ও হুমকির মুখে তাকে এক অন্ধকার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার উপর অপ্রতিরোধ্য মারধর শুরু হয়, গুঁতো, লাঠি ও জিআই পাইপ দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। যখন জাহাঙ্গীর জ্ঞান ফিরে পান, তখন আবার তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন আসামিরা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, তাকে ভুলভাবে ‘জুলাই যোদ্ধা’ বলার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন এবং মোবাইল ফোন সহ বিভিন্ন জিনিস ছিনতাই করে নেয়া হয়। তার ফেসবুকে কিছু পোস্ট দেখানোর জেরেও তাকে মারধর করা শুরু হয়। এ ছাড়াও, বিএনপি নেতার সঙ্গে তার ছবি কি কারণে ছিল তা জিজ্ঞাসা করা হয় এবং জোরপূর্বক করে তার ডান হাতে ইনজেকশন দেওয়া হয়। পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার পর, তাকে রাস্তার মধ্যে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায় আসামিরা। হঠাৎ করেই, তিনি নারায়ণগঞ্জের খানপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন।
এই মামলায় আসামিরা হলো: সিনিয়র ভেরিফিকেশন অফিসার ইফতেখার হোসেন, কর্মকর্তা সাইদুর রহমান শাহিদ, সাগর, আফজালুর রহমান সায়েম, ফাতেমা আফরিন পায়েল, আলিফ, জাহিদ, মেহেদী হাসান প্রিন্স, এক্সিকিউটিভ মেম্বার সাবরিনা আফরোজ শ্রাবন্তী ও সোনিয়া আক্তার লুবনা। ঢাকার মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হাসিবুজ্জামানের আদালত মামলাটি গ্রহণ করে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে বাদীর আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।




















