বাংলাদেশে আগামী এক বছরের জন্য এক বিলিয়ন ডলারের সমমূল্যের সয়াবিন আমদানি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশের তিনটি শীর্ষ সয়াবিন প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান এ চুক্তির আওতায় উল্লেখিত সময়ে বড় পরিমাণে সয়াবিন সংগ্রহ করবে। এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিনের উপস্থিতি বাড়বে, যা ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতের শিল্পমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের সয়ামিলের রপ্তানি আগের তুলনায় কম ছিল। এখন বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্যাপক পরিমাণে সয়াবিন কিনতে শুরু করলে ভারতের সয়ামিলের বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছর বাংলাদেশে ভারতের সয়ামিলের রপ্তানি কমে ১.৬৩ লাখ টনে আచ్చেছে, যা আগে থাকত তার থেকে ৪৬ শতাংশ কম। এই পরিস্থিতিতে ডিএন পাঠক, ভারতের সয়ামিল প্রক্রিয়াকরণ শিল্প সংস্থার একজন নেতা বলছেন, ‘বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে কমদামে অনেক সয়াবিন কিনছে। ফলে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে আমাদের রপ্তানি অনেক কমে গেছে। বাংলাদেশ একদিকে বিশাল পরিমাণে সয়াবিন কিনছে, যা আমাদের জন্য চিন্তার বিষয়।’
মঙ্গলবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ঘোষণা করে, বাংলাদেশের তিনটি অভিহিত শীর্ষ সয়াবিন প্রক্রিয়াজাতকারী সংস্থা আগামী ১২ মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন কিনবে।
এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক চুক্তি, কারণ চীন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উত্তেজনার ফলে সয়াবিন আমদানির পরিমাণ অর্ধেকে নিয়ে এসেছিল। তখন চীন বিকল্প বাজার খুঁজছিল; এর মধ্যে বাংলাদেশের সয়াবিন আমদানির সুযোগ তৈরি হয়। এটি বোঝায়, বাংলাদেশ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় পরিমাণে সয়াবিন কিনছে, যা ভারতের জন্য একটি প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।






















