ফিলিপাইনে সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ‘কালমায়েগি’ এর আঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১৪০ জনে পৌঁছেছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই দুর্যোগে এখন পর্যন্ত এই মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়েছে। তদ্ব্যতীত, এখনও ১২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন, যা উদ্ধার কাজের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই ঝড় বর্তমানে ভিয়েতনামের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। খবর এএফপির।
এই সপ্তাহে সেবু প্রদেশের বিভিন্ন শহরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার কারণে রাস্তা-ঘাট ভেসে গেছে, বহু গাড়ি পুরোটাই পানির নিচে ডুবে গেছে, এছাড়াও নদীর ধারের স্থাপনা ও বিশাল জাহাজের কন্টেইনারের বেশ কয়েকটি ভেসে গেছে।
দেশটির জাতীয় নাগরিক প্রতিরক্ষা অফিস বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তারা ১১৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। তবে সেবু প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের রেকর্ড হিসেব অনুযায়ী, আরও ২৮ জনের মৃত্যু সংবাদের মধ্যে যোগ হওয়ার পরে এই সংখ্যা ১৪০ ছাড়িয়ে যাবে।
মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একটি সামরিক হেলিকপ্টারের ছয়জন ক্রু-ও রয়েছেন। গত মঙ্গলবার, সেবুর দক্ষিণে মিন্দানাও দ্বীপে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য হেলিকপ্টারটি পাঠানো হচ্ছিল, কিন্তু আগুসান দেল সুর এলাকার কাছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
ফিলিপাইন বিমানবাহিনী জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর তারা দ্রুত উদ্ধার অভিযান চালায়। পরে বিমানবাহিনীর একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেন, পাইলটসহ ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া চারটি হেলিকপ্টারের মধ্যে একটি ছিল।
জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা এক প্রতিবেদনে বলেছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চার লাখের বেশি মানুষ তাদের ঘর থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে এবং নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন।






















