বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের বর্তমানে চলমান সব সংকটের মূল কারণ হলো রাজনৈতিক নাটক। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ এই সব জটিল পরিস্থিতি বোঝে না; তারা শুধু চাই মুক্তভাবে ভোট দিতে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের দৌলতপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জগন্নাথপুর ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “বিএনপি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল এবং বেগম খালেদা জিয়ার দল। আমরা কথা ও কাজে একরকম বিশ্বাস রাখি, মুনাফিকির কোনও স্থান নেই আমাদের hoạtিতে।” তিনি উল্লেখ করেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এই দেশে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা এদেশে কিছু লোক দিয়ে গণহত্যা চালিয়েছিল। এবার শেখ হাসিনা তার প্রশাসনের মাধ্যমে একই ধরনের গণহত্যা চালাচ্ছে।”
মহাসচিব আরও বলেন, “বর্তমান সরকার সম্পূর্ণই অপ্রতিনিধিত্বশীল। এই কারণেই সাধারণ মানুষের কষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। কৃষকরা তাদের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না, শাকসবজির দাম কমে গেছে। হিমাগারে আলু অগ্রিম বিক্রির জন্য নেই। এছাড়াও, কৃষকদের জন্য প্রয়োজনীয় সার কেনাও তাদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে এই সব সমস্যা সমাধান হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।”
তিনি বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের জন্য ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করা হবে, যা দিয়ে তারা সস্তায় তেল, চাল, ডাল কিনতে পারবে। একইভাবে কৃষকদের জন্য কৃষি কার্ড চালু করা হবে, যাতে তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে আসে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “নির্বাচনের সময় গণভোট দিতে হবে। এই গণভোটের সার্টিফিকেট কিনা, সেটি আমাদের বোঝা উচিত। তবে সাধারণ মানুষ এই বিষয়গুলো বুঝতে পারে না, শিক্ষিত মানুষই পারে। আমরা সব রকম সংস্কারে রাজি, তবে যা রাজি হয় না, সেটাই সংসদে পাস হবে।”
অতঃপর তিনি বলেন, “দাঁড়িপাল্লা আপনি যারা চেনেন, সেটিও এখন নির্বাচন করছে। ধানের শীষের প্রতীকের সঙ্গে দাঁড়িপাল্লার মধ্যে আপনাদের বেছে নিতে হবে। এটি আমার শেষ নির্বাচন। এই নির্বাচনে যদি শক্তি না থাকেও, তবুও ধানের শীষে ভোট দিয়ে আমাকে সহায়তা করুন।”
অনুষ্ঠানে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ বিভিন্ন নেতাকর্মী।




















