অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, নতুন পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ভবিষ্যত সরকারের হাতে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য তিনি প্রকাশ করেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আইএমএফের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা হবে ১৫ তারিখে। এর আগে, তিনি আইএমএফের সঙ্গে জুমে আলাপাচার করেছেন। আইএমএফ বলেছে, দেশটির সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তারা বেশ সন্তুষ্ট। তারা যতটুকু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে বলে আশা করছে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইএমএফের কিছু সুপারিশ রয়েছে, যেমন কর রাজস্ব বাড়ানো। তিনি স্বীকার করেন, দেশের কর শনাক্তের হার কম আছে, এর কয়েকটি কারণও রয়েছে। দেশের মানুষ কর দিতে চায় না, আবার এনবিআর দুই মাস বন্ধ থাকার কারণেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আইএমএফের আরেকটি সুপারিশ সামাজিক সুরক্ষার জন্য আরও বেশি বিনিয়োগ, বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা ও খাদ্যক্ষেত্রে। বর্তমানে আমরা খাদ্য পরিস্থিতিতে ভালো আছি।
পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের তিন মাস আগে যা কিছু করণীয়, তা আমরা সম্পন্ন করব। সংস্কার প্রক্রিয়াকে চালিয়ে যাব, যদিও এটি সম্পূর্ণ শেষ করা সম্ভব নয়। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। ভবিষ্যত সরকারকে একটি সুন্দর নিয়োজিত প্যাকেজ করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে মূল সংস্কারগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে। তিনি জানান, ট্যাক্সের বিষয়ে একটি স্বতন্ত্র কমিটি গঠন করেছেন, যারা কিছু সুপারিশ দেবেন।
অর্থাৎ, পে-কমিশনের বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারছেন না, কারণ সেটি দেখা হচ্ছে। ভবিষ্যত সরকারের জন্য সেটি মাধ্যমে নেওয়া হবে। এই ব্যাপারে তিনি বলেন, ইনিশিয়েটিভ হিসেবে আমরা কিছু নিজ উদ্যোগ নিয়েছি।
অর্থনৈতিক উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, ব্যাংক সেক্টর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ইতিমধ্যে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, বাকি অংশ ধীরে ধীরে সমাধান হবে। এই সব পরিবর্তন আগামী সরকার পরিচালনা করবে।
আইএমএফের ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় পাওয়া যাবে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা আগেই জানিয়েছি, এখন কোনো জরুরী প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে হয় না। আইএমএফ তাদের রিভিউ সম্পন্ন করছে, কারণ তারা চায় যে, নতুন সরকার কতটা এই নীতিগত ভিত্তিতে কাজ করে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে তারা আবার রিভিউ করবে এবং সিদ্ধান্ত নেবে।





















