ফয়সালাবাদের ধীর ও নিচু বাউন্সের উইকেটে পাকিস্তানি স্পিনারদের দুর্দান্ত ঘুর্ণি জালে আটকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে প্রোটিয়াদের মাত্র ১৪৩ রানে অলআউট করে স্বাগতিক পাকিস্তান সিরিজটি নিজেদের করে নেয়। টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ম্যাথিউ ব্রিটজ। ম্যাচের শুরুতেই তারা দারুণভাবে শুরু করে, কুইন্টন ডি কক ও লুয়ান-দ্রে প্রিটোরিয়াসের মধ্যে ৭২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে। কিন্তু এরপরই ধস শুরু হয়, শেষ আট উইকেট মাত্র ৩৭ রানে হারায় তারা। এটি পাকিস্তানের জন্য ছিল এক দারুণ সুযোগ। আবরার আহমেদের লেগ স্পিনে দক্ষিণ আফ্রিকার মিডল এবং লোয়ার অর্ডার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। শুরুতে পাকিস্তান একটু রক্ষণশীল ভঙ্গিতে খেলা শুরু করে, নতুন বলে আঘাত হানেন সাঈম আয়ুব ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। প্রথম চার ওভারে তারা মাত্র ১০ রান দিচ্ছিলেন। শাহিনের ব্যাক-অফ-দ্য-হ্যান্ড স্লোয়ারে ডি কক প্রথম বলেই বুঝতে পারেননি, মারতে গিয়ে চার হাঁকান। পরের বলেই গতি বাড়িয়ে আবার চার মারেন তিনি। দেশের হয়ে ৭০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করে তিনি। মোহাম্মদ নওয়াজের বলের রিভার্স সুইপে ফিফটি পূর্ণ করেন ডি কক, তবে দুই বলের মধ্যে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। এরপরই শুরু হয় আবরারের জাদুকরী বোলিং। মাত্র দুই ওভারে তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মিডল অর্ডার ধ্বংস করে দেন তিনি। প্রথমে রুবিন হারম্যান ডেবিউতে গুগলি বুঝে বোল্ড হন। পরের বলেই ডোনোভান ফেরেইরাস সুইপ করতে গিয়ে বল মিস করেন ও সরাসরি স্টাম্পে লাগায়। এরপর করবিন বোশ নিচু বাউন্সে বিভ্রান্ত হয়ে গোল্ডেন ডাক পান। তবে হ্যাটট্রিকের সুযোগ পায়নি, শেষ ওভারে অধিনায়ক ব্রিট্জকে ক্যাচ ধরিয়ে দেন আবরার। শেষদিকে কিছু প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার নিচের ব্যাটাররা, তবে শাহিন আফ্রিদি ৩৮তম ওভারে পরপর দুটি বলের মধ্যে দুই উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেন। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত স্পিন displays দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য আর নিরাপদ নয়, ফলে সিরিজের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তারা হেরে যায়। এ উজ্জীবিত পাকিস্তান ফলিত হয় এক ঐতিহাসিক জয় দিয়ে।
















