পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে আদালতের বাইরে এক আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনায় দেশের বিবৃতি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ অভিযোগ করেছেন যে, এই হামলার পেছনে ভারতের হাত রয়েছে। তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় জড়িত চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ভারতের সক্রিয় সমর্থন রয়েছে বলে তার ধারণা। মঙ্গলবার দুপুরে ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালতের বাইরে এই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১২ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছে বলে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। এই ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ‘ভারতের সন্ত্রাসী প্রক্সির মাধ্যমে পাকিস্তানের নিরস্ত্র নাগরিকদের উপর আঘাত হানা দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য। ভারত যেন এই অঞ্চলে সন্ত্রাস ছড়িয়ে বোঝাতে পারে এমন অপচেষ্টা বন্ধ করে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ঘটনার যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং দোষীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ আফগানিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করে মন্তব্য করেছেন, ‘কাবুলের শাসকরা পাকিস্তানে সন্ত্রাস বন্ধ করতে পারে, তবে এই ঘটনার মাধ্যমে কারা ইসলামাবাদে যুদ্ধ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে তা পাকিস্তান বুঝতে পেরেছে, এবং এর জবাব দেওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।’ ভারতীয় পক্ষ থেকে এই অভিযোগের কোন প্রতিক্রিয়া এখনো স্পষ্টভাবে আসেনি। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লাল কেল্লা পাশে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে আটজনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এই বিস্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি, শুধুমাত্র সন্দেহ করা হচ্ছে এটি সন্ত্রাসী হামলা। বেশ কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, এই ঘটনায় পাকিস্তানের рук রয়েছে। অন্যদিকে, বর্তমানে ভূটানে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাই আইনের আওতায় আসবে এবং কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের তদন্ত সংস্থা এই ষড়যন্ত্রের মূল রহস্য উদঘাটন করবে। যারা এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তাদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না।’ এই ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেছে বিবিসি ও এনডিটিভি।


















