পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের এক জেলা আদালতের বাইরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, ঘটনাটি ঘটে জি-১১ এলাকার ওই আদালতের প্রবেশদ্বারসংলগ্ন স্থানে। পুলিশ পরিস্থিতি নিশ্চিত করে বলছে, আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
ইসলামাবাদ পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে জানা গেছে, এই হামলাকে পরিকল্পিত ও ভয়াবহ আঘাত হিসেবে বিবেচনা করছে প্রশাসন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এবং রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি উভয়ই এই হামলাকে আত্মঘাতী হামলা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাদের মতে, এটি একটি জোড়ালো বার্তা যে পাকিস্তানের নিরাপত্তা সিস্টেম এখনো ঝুঁকির মধ্যে আছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) পোস্টে রাষ্ট্রপতি শোক প্রকাশ করে নিহত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন, আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তৎপরতা প্রশংসা করেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফ এই ঘটনাকে দেশজুড়ে একটি সতর্কবার্তা এবং জাগরণের ডাক হিসেবে দেখছেন। তিনি আরও বলেছেন, আমরা যুদ্ধের পরিস্থিতিতে আছি এবং যারা ভাবেন পাকিস্তান সেনাবাহিনী শুধুমাত্র সীমান্তে লড়াই করছে, তাদের জন্য এই হামলা একটি বড় সাবধানবাণী।
অপরদিকে, কবারুলের পরিস্থিতির ওপর গভীর আলোচনা চালিয়ে তিনি বলেছেন, এখনকার পরিস্থিতি থেকে সফল আলোচনা প্রত্যাশা করা অসম্ভব, কারণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি চরমقেই পৌঁছেছে।
ঘটনার আরও বিস্তারিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যায়, নিরাপত্তা ব্যারিকেডের পিছনে একটি পোড়া গাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে আগুনের শিখা এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী বাতাসে উঠছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের পর তারা ভয়াবহ বিশৃঙ্খলার সম্মুখীন হন; অনেকে দ্রুত দৌড়াতে শুরু করেন, কিছু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়, এবং ঘটনাস্থলে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও বলেছেন, গেটের কাছে বেশ কয়েকটি গাড়ির ক্ষতি হয় এবং কিছু গাড়িতে আগুন লেগে যায়। পরিস্থিতির উন্নতি ও তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করেছে। সব ধরনের খবর ও আপডেট ধীরে ধীরে প্রকাশ করা হবে, কারণ মিডিয়া রিপোর্ট কখনো কখনো ভুল হতে পারে। আমরা বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সঠিক সংবাদ পরিবেশনে সচেষ্ট থাকব।


















