আজ দুপুর ২টায় এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের বাংলাদেশের ম্যাচের জন্য টিকিট বিক্রি শুরু হয়। এই ম্যাচটি ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে, এবং ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনা ব্যাপক। মাত্র ছয় মিনিটের মধ্যে সাধারণ গ্যালারির সব টিকিটই sold out হয়ে যায়।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কম্পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান ও নির্বাহী সদস্য সাবেক জাতীয় ফুটবলার গোলাম গাউস জানিয়েছেন, সাধারণ গ্যালারির সব টিকিটই মাত্র ছয় মিনিটে বুকিং হয়ে যায়। এখন গ্রাহকরা পেমেন্ট করছে, এবং ইতোমধ্যে অর্ধেকের বেশি টাকা পরিশোধও হয়েছে। সাধারণ গ্যালারির টিকিটগুলো এখন আর অবিক্রিত থাকেনি, তবে রেড বক্স এবং হসপিটালিটি ক্যাটাগরির টিকিট এখনও উপলব্ধ রয়েছে।
পূর্বের বছরগুলোতে সিঙ্গাপুর ও হংকং ম্যাচের টিকিটের মূল্য ছিল ৪০০ টাকা। তবে ভারত ম্যাচের জন্য বাফুফে সেটি বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করেছে। দাম বাড়লেও সমর্থকদের আগ্রহ কমেনি। টিকিট উন্মুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেক দর্শক তা সংগ্রহ করেন। এত দ্রুত সময়ে সাধারণ গ্যালারির সব টিকিট শেষ হলেও, এখনো দর্শকদের কাছ থেকে গালিম বা টিকিট না পাওয়া নিয়ে তেমন কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে বাংলাদেশ ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে। এই ম্যাচের টিকিটও প্রায় এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে। তবে এই টিকিট বিক্রিও ধীর হওয়ায়, আশা করা হচ্ছে দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। গাউস বলেন, ‘ভারত ম্যাচের সব টিকিটই শেষ। আজ সেখানে অনেক গ্রাহক আসতেও শুরু করেছেন। এখন নিশ্চয়ই নেপাল ম্যাচের টিকিটও সংগ্রহ করবেন।’
নভেম্বরের শুরুতে, ১০ জুন, বাফুফে অনলাইনে টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু করে। প্রথমে টিকিফাই প্ল্যাটফর্মে টিকিট সংগ্রহের ক্ষেত্রে অনেক ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। পরে, অক্টোবরের উইন্ডোতে বাফুফে কুইকেটকে টিকিটিং পার্টনার হিসেবে নিযুক্ত করে। ৯ অক্টোবর ঢাকায় ঐ ম্যাচের টিকিট মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়।
অক্টোবরের উইন্ডোতে ফুটবলপ্রেমীরা ভোগান্তিতে না পড়ায় নভেম্বরের উইন্ডোতেও সেই কুইকেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সহজে অনলাইনে বিক্রি হওয়ায় দর্শকরা ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে টিকিট কিনে থাকেন। তার পরেও, চার মাস পেরিয়ে গেলেও, বাফুফে এখনও সিঙ্গাপুর ম্যাচের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করতে পারেনি।


















