সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ইনিংস ব্যবধানে জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছেছে। তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে স্বাগতিকরা ৮ উইকেটে ৫৮৭ রান দিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। এরপর, দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটাররা ব্যাটিং ধসের মুখোমুখি হয়। তারা মাত্র ৮৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে নিজেদের পতনের শিকার হয়। দিন শেষ করে তারা ২১৫ রানে পিছিয়ে থাকলো।
দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নেমে আয়ারল্যান্ডের শুরুতে পাঠ আটকে যায়। প্রথম উইকেটে দলীয় ১৪ রানে ক্যাড কারমাইকেল বোল্ড হন নাহিদ রানার এক দুর্দান্ত ইয়র্কারে। এরপর পল স্টার্লিংকে সঙ্গে নিয়ে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং সাবলীলভাবে এগোতে থাকেন। তিনি ব্যক্তিগত ৫০ বা ৬০ রানের কাছাকাছি পৌঁছাতে একসময় থাকলেও, ৪৩ রান করে দলীয় ৬১ রানে রান আউট হন। এই রান আউটের মাধ্যমে তার ফিফটি অচিরেই কাটা পড়ে।
স্টার্লিং গেরার পরই দ্রুত তিনটি উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ১৮ রান করে তিনি আউট হন TA জিমের বলে লেগ বাইরের শটে। এরপর দ্রুত দুই উইকেট তুলে নেন হাসান মুরাদ, যারা যথাক্রমে কার্টিস ক্যাম্ফার ও লোরকান টাকার গিয়ে আউট করেন। এভাবে, মাত্র ৮৫ রান করে ৫ উইকেট হারানো নিশ্চিত হয়ে পড়ে আইরিশরা। অভিষিক্ত এই স্পিনার খুব দ্রুত তার নৈপুণ্য দেখিয়ে দুই উইকেট শিকার করেন।
দিনের খেলা শেষে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৮৬ রান। বাংলাদেশ এখন ইনিংস ব্যবধানে জয়ের খুব কাছাকাছি। জয় নিশ্চিত করতে হলে আয়ারল্যান্ডের আরও ২১৫ রান দরকার।
এদিকে, এর আগে প্রথম ইনিংসের আলোচিত পারফরম্যান্সে ছিল জয় ও শান্তর শতক। পাশাপাশি সাদমান, মুমিনুল ও লিটন দাসের ফিফটি। এই ইনিংসের সুবাদে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ৫৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। প্রথম ইনিংসের এই বড় লিড ছিল মোট ৩০১ রান, যা বাংলাদেশের টেস্টের দ্বিতীয় বৃহত্তম লিড। ২০১৮ সালে মিরপুরে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৩৯৭ রানের লিড হয়েছিল।






















