সিলেট টেস্টে ব্যাট এবং বল উভয় দিকেই নিজস্ব শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়ে বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইনিংস ও ৪৭ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে আয়ারল্যান্ডের খেলাটি অবশ্য বেশ ভালোই ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তারা ৫ উইকেটে ৮৬ রান করে দিনের খেলা শেষ করে, আরেকটু এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ২৫৪ রানে অল আউট হয়ে যায়। এই ইনিংসের লড়াইয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়ে তারা দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যবধানে হেরেছে। এটি বাংলাদেশের জন্য সাদা পোশাকের ক্রিকেটে চতুর্থ বার ইনিংস ব্যবধানে জয়ের নজির।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৩০১ রানের লিড নিয়ে ৮ উইকেটে ৫৮৭ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করে। এরপর বল করতে নেমে বাংলাদেশের বোলাররা আক্রমণাত্মকভাবে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের ঘেরাও করে। দিনের শেষে আয়ারল্যান্ডের পতন ঘটে ৮৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে, তারা বেশ কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে।
শুক্রবার কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটাররা। শুরুতে কিছু চমৎকার বাউন্ডারিসহ খানিকটা এগোওয়া হলেও বেশি দূর এগোতে পারেনি। প্রথম আঘাত হানে তাইজুল ইসলাম (৩-৮৪), যিনি ম্যাথিউ হামফ্রিজকে ফেরত পাঠান। এরপর অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন (৫২) ও অ্যান্ডি বালবার্নি (৩৮) ৬৬ রানের জুটি গড়েন, যা কিছুটা পরিস্থিতি সামাল দিতে সাহায্য করে। কিন্তু শেষমেষ হাকিম রানা (২-৪০) তাঁর বলেই বালবার্নিকে ফিরিয়ে আনে। সাথে হাসান মুরাদ (৪-৬০) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ম্যাকব্রাইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারকে। শেষ দিকে জর্ডান নিল (৩৬) এবং ব্যারি ম্যাককার্থি (২৫) কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও, মুরাদ আবার আঘাত হানেন এবং শেষ উইকেটটি তুলে নেন তাইজুল। ফলে বাংলাদেশ ম্যাচের প্রাধান্য নিশ্চিত করে বিজয় অর্জন করে।
ম্যাচের পুরো সময় বাংলাদেশ ছিল দাপুটে আধিপত্যে। টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ, তবে প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ থামে মাত্র ২৮৬ রানে। এরপর বাংলাদেশের ব্যাটিং দারুণভাবে চালিয়ে যায়, যেখানে মাহমুদুল হাসান ১৭১ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মাত্র ১০০ রানে তাঁর দায়িত্বশীল সেঞ্চুরি করেন। এই দুইজনের জোড়া ব্যাটে বাংলাদেশ বড় সংগ্রহ গড়ে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচসেরার পুরস্কার পান জয়। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের খেলা শুরু হবে ১৯ নভেম্বর, মিরপুরে।






















