কক্সবাজারের উখিয়ায় পৃথক দুই ঘটনায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে রত্নাপালং ইউনিয়নের একটি বাড়ি থেকে এক তরুণের মরদেহ এবং রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জিয়াউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রথম ঘটনায়, রত্নাপালং ইউনিয়নের কাটিরমাথা এলাকার মৃত তাতু বড়ুয়ার ছেলে জিশু বড়ুয়া তাঁর নিজ বাড়ির আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জিশুর মা মল্লিকা বড়ুয়া বলেন, তাঁর ছেলে সুস্থ ছিল, তবে কেন তিনি এমন করেছেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না।
দ্বিতীয় ঘটনায়, একই দিন রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮-ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সৈয়দ আমিনের মেয়ে আসমা আক্তার গাছের ভীমে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর মা জরিনা বেগম বলেন, তিনি দেখতে পান মেয়েকে শয়নকক্ষে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে। তিনি চিৎকার করে সাহায্য চান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক জানান, সম্প্রতি স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে অকাল মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে। পাশাপাশি মারামারি, খুন-খারাবি ও আত্মহত্যার প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।
উখিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, দুই ঘটনাতেই পুলিশের টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রথমে মনে করা হচ্ছে, দুটি ঘটনাই আত্মহত্যা, তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।




















