আওয়ামী লীগ এখন নিজেদেরই লকডাউন হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ঘোষণা করা লকডাউন কর্মসূচি এখন ব্যর্থ হয়েছে, কারণ তারা নিজেই কলকাতা ও অন্যান্য বিদেশে লকডাউন অবস্থায় অবস্থান করছে। রোববার তেরখাদার সাচিয়াদাহ বাজারে এক নির্বাচনী সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। হেলাল বলেন, “ফ্যাসিস্ট মাফিয়া সরকার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পিছু হটছে এবং এখন ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে থেকে তারা অকারণভাবে জনগণের ওপর ‘লকডাউন’ ঘোষণা করছে, কিন্তু বাস্তবে তারা নিজেই বিদেশে আটকে রয়েছে।”
তিনি আরো অভিযোগ করেন, নির্বাচনী মাঠে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে এখন জামায়াতও কৌশল পরিবর্তন করছে। হেলাল বলেন, “জামায়াত জোড় করে ভয় দেখানোর জন্য নানা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, কারণ তারা জানে হার মানতে হবে। তবে জনগণ এখন ভোটের দিকে মুখি, কোনো প্রকার বাধা এই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না।”
সাচিয়াদাহ বাজারে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করতে থাকা বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে হেলাল রাস্তার উপর রাখা চেয়ার-টেবিল সরিয়ে জনগণের অসুবিধা কমানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, “বিএনপি কখনো জনসমাগমের উদ্দেশ্যে রাস্তা বন্ধ করে না, সব সময় জনগণের সুবিধার জন্য কাজ করে।”
এছাড়াও, তিনি কাটেঙ্গা বাজারে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং শোনেন, রাস্তা উন্নয়ন করলে শতশত দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই বিষয়ে হেলাল জানান, উন্নয়ন প্রয়োজন, তবে ব্যবসায়ীদের স্বার্থেও এই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, “যদি বিএনপি সরকার গঠনে আসতে পারে, তাহলে এখানে বহুতল সুপার মার্কেট নির্মাণের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করা হবে।”
উপনিবেশের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি ‘একটি বাড়ি একটি গাছ’ উদ্যোগের আওতায় বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষরোপণ করেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক খান জুলফিকার আলি জুলু, খায়রুল মোল্লা, তেরখাদা উপজেলা বিএনপি’র শাখা নেতা চৌধুরী কাওছার আলী, কামরান হাসান, বলু চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাবিব, নান্টা মোল্লা প্রমুখ।
এছাড়াও, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আতাউর রহমান রনু, যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক গুলাম মোস্তফা তুহিন, আজিজুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, কালাম লস্কর, এমদাদ, জাহিদ, জাহাঙ্গীর লস্কর, মফিজুল ইসলাম, সোহাগ মুন্সি, টগর, দিন ইসলাম, শফিক, জাকির, লিমন সহ শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।






















