অবৈধ অভিবাসন বিরোধী কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্য পুলিশ এবং ইমিগ্রেশন বিভাগ পাশাপাশি অভিযান চালিয়ে ১২৩ জন বিভিন্ন দেশের অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে। সোমবার (১৬ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জোহর রাজ্য ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে শুরু হওয়া এই সাঁড়াশি অভিযানে জোহর অভিবাসন বিভাগ ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সদস্যরা অংশ নেন। অভিযানে দেখা গেছে, একাধিক প্লাস্টিক কারখানায় অসংখ্য বিদেশি শ্রমিককে বৈধ পাস ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
আটকদের মধ্যে বাংলাদেশের ৪৫ জন, মিয়ানমারের ৭১ জন, ভারতের ৪ জন, নেপালের ২ জন এবং পাকিস্তানের ১ জন নাগরিক রয়েছেন। কর্মকর্তারা বলছেন, এ সকল ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুমতি না নিয়ে কাজ করা, বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়া, এবং অভিবাসন আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়াও, এই অবৈধ নিয়োগে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই কারখানার একজন স্থানীয় মানবসম্পদ ব্যবস্থাপককেও আটক করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে কারখানার ভেতরে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। কিছু শ্রমিক পালানোর চেষ্টা করে, আবার কেউ লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করে। তবে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ইমিগ্রেশন ও নিয়ন্ত্রণে থাকা সদস্যরা পালানোর সব পথ বন্ধ করে দেয়।
জোহর রাজ্য ইমিগ্রেশন বিভাগ সতর্ক করে জানিয়েছেন, অবৈধ বিদেশি কর্মীদের আড়াল বা সুরক্ষা দেয়ার সব কৌশলই সরকারী রাডার থেকে छাপা যাবে না। আটককৃত সকল সন্দেহভাজনকে আরও তদন্তের জন্য স্থানীয় সেতিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।
জোহর বিভাগ বারবার জানিয়েছে, কর্মীদের অপব্যবহার রোধ এবং অভিবাসন আইন মান্যতা নিশ্চিত করার জন্য এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।






















