বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে অস্ট্রেলীয় সংসদ সদস্যরা স্পষ্ট ও বিবেকবান দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করায় বাংলাদেশের জন্য এই দৃষ্টান্তমূলক সমর্থনের জন্য তারেক রহমান আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, অনেক বাংলাদেশি—যার মধ্যে আমি নিজেও আছি—অস্ট্রেলিয়ার ওই সংসদ সদস্যদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে। তাঁরা যারা আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের মানুষজনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। তাদের এই বিবেচনাপ্রসূত বক্তব্য বাংলাদেশের গণতন্ত্রের শক্তিকে আরও দৃঢ় করে, এবং বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের অবস্থানকে স্পষ্ট করেছে।
তারেক রহমান উল্লেখ করেন, দেশের সাধারণ নাগরিকরা অস্হিরতা, নিরাপত্তাহীনতা ও নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, যেখানে প্রত্যেকে ভয় বা বাধা ছাড়াই মতামত প্রকাশ করতে চান। এসব উদ্বেগ মূলত তথাকথিত রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার কারণে, যা বাংলাদেশের স্বাভাবিক উন্নয়ন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এমন পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলীয় এমপিদের চরম মানবাধিকৃতমুলক ও বৈধ দিক নির্দেশনা বাংলাদেশের মানুষের জন্য অনেকটাই সহায়ক। তাঁদের এই প্রত্যয় ও বার্তা বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার নতুন দিশার সূচনা হতে পারে।
তারেক রহমান বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা দায়িত্বশীলতার জন্য এগুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরছেন। তাঁদের এই উদ্যোগ দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সমাজের উন্নয়নে অমূল্য অবদান রাখছে। দেশের প্রতি তাদের এই ভালোবাসা, বিশ্বাস ও আন্তরিকতা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করছে। একটি গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও উন্নত ভবিষ্যতের জন্য এই বন্ধন এবং একতা অপরিহার্য।
তিনি সংক্ষিপ্তভাবে বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে একত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অস্ট্রেলীয় এমপিদের জন্য আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। তাঁদের এই সমর্থন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—গণতন্ত্রের জন্য বিশ্বব্যাপী অঙ্গীকার শুধু একটি দৃষ্টিভঙ্গি নয়, এটি একটি যৌথ দায়িত্ব। আমাদের উচিত একে অপরের পাশে থেকে শান্তি, ন্যায় ও উন্নয়নের পথে একসঙ্গে অগ্রসর হওয়া।’




















