ইডেন গার্ডেনে চিত্তাকর্ষক এক টেস্টের শেষপর্ব তিন দিনে শেষ হয়ে গেল। মাত্র ১২৪ রানের সহজ লক্ষ্যে ভারতের প্রতিউত্তর দেওয়ার আশা ছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনাররা একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে ভারতের স্বপ্ন ভেঙে দিল। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৯৩ রানে অলআউট হয়ে ভারত ৩০ রানের ব্যবধানে হার মানলো। এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলো।
রোববার (১৬ নভেম্বর) সকালে দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে ৯৩ রান নিয়ে খেলা শুরু করে। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা একাই লড়াই চালিয়ে যান। তার সঙ্গে করবিন বশের (২৫) জুটিতে প্রোটিয়াদের লড়াকু পুঁজি বৃদ্ধি পায়। বাভুমা শেষ পর্যন্ত ১৩৬ বলের মোকাবেলায় ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাঁর এই দৃঢ়তার কারণে প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংসের স্কোর দাঁড়ায় ১৫৩ রানে। ভারতের লিড বাদ দিয়ে স্বাগতিকদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৪ রান। ভারতের হয়ে রবীন্দ্র জাদেজা চারটি এবং মোহাম্মদ সিরাজ ও কুলদীপ যাদব দুইটি করে উইকেট তুলে নেন।
লাঞ্চের আগে ভারত লক্ষ্যচ্যুত হয় ১২৪ রানের। ব্যাটিং শুরু করেন একেবারেই দুঃস্বপ্নের মতো। মার্কো ইয়ানসেনের আঘাতে প্রথম ওভারে জৈবিকভাবে ফেরেন যশস্বী জয়সোয়াল (০)। এরপরই লোকেশ রাহুল (১) লেগে যান দলের হাল ধরতে। চোটের কারণে অধিনায়ক শুভমান গিল হাসপাতালে থাকায় বোলিং অর্ডারে পরিবর্তন আনা হয়, কিন্তু ধ্রুব জুরেল (১৩) ও ঋষভ পন্ত (২) ব্যর্থ হন। স্পিনার সাইমন হার্মার এই দুজনকে ফেরালে ভারত পড়ে যায় মাত্র ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে।
একদিকে অক্ষর প্যাটেল ঝড় তুলছিলেন, অন্যদিকে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে খেলা উইশিংটন সুন্দর প্রহরার জন্য থাকেন। রবীন্দ্র জাদেজা (১৮) তার সঙ্গে জুটি বাঁধতে চাইলে হার্মার তাকে আলগা করেন। ৬ উইকেট পড়ে ৭২ রানে ভারতের অবস্থা খারাপ হতে থাকলে, অক্ষর প্যাটেল ১৭ বলে ২ ছক্কা আর ১ চারে ২৬ রান করে জয়ের সম্ভাবনা দেখান। কিন্তু শেষমেষ কেশভ মহারাজ তাঁর বলেই সুন্দরকে ফিরিয়ে দেন। এরপর মোহাম্মদ সিরাজ (০) ওয়ে আউট হয়ে ভারতের শেষ আশা শেষ করেন। সুন্দরও ৩১ রানে আউট হন।
অবশেষে, ভারতের ইনিংস শেষ হয় ৯৩ রানে অলআউট হয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সাইমন হার্মার ৪টি উইকেট লাভ করেন, ইয়ানসেন ও কেশভ মহারাজ ২টি করে উইকেট নেন। এই বাজে ফলাফল বিশ্বজুড়ে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য লজ্জার মুহূর্ত হয়ে রইল।






















