আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালে, মোট ২৮ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকতে পারে, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ছুটির দিনগুলোর সমন্বয়ে নির্ধারিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব সাইড সুপারভিশন আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) এই ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে, যা সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নতুন তালিকা অনুযায়ী, ২০২৬ সালে প্রথম ব্যাংক বন্ধ থাকবে শবে-বরাতের দিন ৪ ফেব্রুয়ারি। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় শবে কদর, সেই দিনও ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ঈদুল ফিতর উদযাপনে ১৯ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ থাকবে, যেখানে ঈদের আগে ও পরে ব্যাংক বন্ধ থাকবে, যার মধ্যে দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি ছিল।
অন্যদিকে, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের জন্য ব্যাংক বন্ধ থাকবে। চৈত্র সংক্রান্তি উৎসবের জন্য রাঙামাটিসহ কয়েকটি পার্বত্য জেলার জন্য ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণা হয়েছে। বাংলা নববর্ষের শুভ সূচনা হিসেবে ১৪ এপ্রিল ব্যাংক বন্ধ থাকবে। মে দিবস ও বুদ্ধপূর্ণিমার জন্য ১ মে ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
ঈদুল আজহার জন্য ২৬ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধের দিন থাকবে, যেখানে দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। এছাড়া, ২৬ জুন আশুরার উপলে ও ১ জুলাই ব্যাংক ছুটি থাকবে। অন্য গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো হলো, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের দিন, ২৬ আগস্ট ঈদে মিলাদুন্নবী, ৪ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমী, ২০ ও ২১ অক্টোবর দুর্গাপূজা, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন, এবং ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এই ছুটির তালিকা কার্যকর হবে জনপ্রশাসন মন্ত্রীালয়ের ৯ নভেম্বরের প্রজ্ঞাপনের ওপর ভিত্তি করে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে ব্যাংকে মোট ২৪ দিন ছুটি ছিল এবং ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২৭ দিন। আর ২০২৬ সালে এটি আরও বৃদ্ধি পেয়ে ২৮ দিন হবে।






















