ভারতীয় পেট্রাপোল বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশে চালের আমদানি আবার শুরু হয়েছে। গত ২১ আগস্ট প্রথম চালান হিসেবে নয়টি ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এরপর একে একে গত ৮৮ দিনে প্রায় ১৪৫টি চালান, মোট ১৩ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন মোটা চাল বেনাপোল বন্দরে পৌঁছেছে। এই সময়ের মধ্যে ৩৯৫টি ট্রাকের মাধ্যমে চাল আমদানি হয়েছে।
দেশের বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ সরকার সব বন্দর দিয়ে চাল আমদানি করতে অনুমতি দেয়। ফলে অগাস্টে ১২৬০ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বরেআ ৫ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন, অক্টোবারে ৫ হাজার ১৮৮ মেট্রিক টন আর নভেম্বরে ১৬৪৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়। আমদানির এসব চাল বেনাপোলের কাস্টমস হাউজে চার থেকে পাঁচটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কাজ করে চালের খালাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বাবলুর রহমান জানান, ‘চাল আমদানি শুরু থেকে আমরা কাস্টমসের মাধ্যমে চালের ছাড়করণের কাজ করে আসছি। ২১ আগস্ট থেকে আবার ভাইয়া এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে চালের আমদানি শুরু হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চাল আসার পরিমাণ কিছুটা কমে গেছে, তবে বিভিন্ন বন্দর দিয়ে চালের আমদানি অব্যাহত থাকায় বাজার স্থিতিশীল। যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তবে চালের দাম তেমন পরিবর্তনের কারণে উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই।’
বেনাপোল আমদানি রফতানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মহসিন মিলন বলেন, ‘চাল আমদানির পরিমাণ গত আগস্ট থেকে বেড়ে গেছে। তবে বর্তমানে এটি কিছুটা কমে এসেছে। দেশের অন্য বন্দরে চালের আমদানি চালিয়ে গেলে বাজারের পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে ও চালের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কৃষকরা ধান কাটতে শুরু করেছে, ফলে বাজারে নতুন ধান আসার সঙ্গে করেও চালের দাম কমবে, যা বাজারের চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।’
বেনাপোলের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানিয়েছেন, ‘তিন মাসে ভারত থেকে ১৪৫টি চালানে ট্রাকের মাধ্যমে মোট ১৩ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে এসেছে। আমদানির চাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’






















