দিঘলিয়া উপজেলায় সারাদিনব্যাপী নির্বাচনী ও জনসেবা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও ধানের শীষের প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে বিএনপির বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোটেই ভুলে গিয়ে ক্ষমতায় আসে বিএনপি, আর সেই ভোটে জনগণের বিপ্লব হবে, ইনশাআল্লাহ।
বুধবার সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত দিঘলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ, বৃক্ষরোপণ, পথসভা, মতবিনিময় ও নির্বাচনী প্রচার চালান তিনি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে আরুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে “একটি বাড়ি একটি গাছ, সবুজায়নের অঙ্গীকার” শ্লোগানে শিক্ষার্থীদের সাথে বৃক্ষরোপণ করেন। পরে স্কুলে শিক্ষকদের সাথে বিশেষ আলাপচারিতায় বলেন, পরিবেশ রক্ষায় শিক্ষার্থীদের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর ভাষ্য, যদি বিএনপি সরকার গঠন করে, তবে শিক্ষায় এবং পরিবেশের ক্ষেত্রে উন্নত ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ নেওয়া হবে।
দুপুরে তিনি পূর্ব আমবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সাথে আবারও বৃক্ষরোপণ করেন এবং শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করেন। সাথে দূরবর্তী মাঠে মাধপুর ওয়ার্ডের নির্বাচনী পথসভায় বলেন, ভোটাধিকার থেকে দীর্ঘদিন মানুষ বঞ্চিত হলেও এবার ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। জনগণ বুঝতে পেরেছে, বিএনপি হলো সাধারণ মানুষের দল। এ সময় তিনি confidently জানিয়েছেন, জনগণের রায় অনুযায়ী বিএনপি সরকার গঠন করবে।
দুপুর দেড়টায় রাধা মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আবারো বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম চালানো হয়, যেখানে তিনি উপস্থিত ছিলেন। এরপরে তিনি কামারগাতী বাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়, দোকানপঠে লিফলেট বিতরণ এবং নঈম মোল্লার কবর জিয়ারত করেন। লাখোহাটি বাজারে ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতাদের সাথে আলোচনা করেন, তাদের সমাধান ও উন্নয়নের বিষয়ে। বিকালে বারাকপুরে আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা উপভোগ করে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
সন্ধ্যায় একটি মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতায় তিনি বলেন, রূপসা, দিঘলিয়া ও তেরখাদার মানুষদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং মানবিক উন্নয়নের স্বার্থে বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে হবে। বিএনপি সরকার মার্কা হলে অবহেলিত এলাকা উন্নত, বেকারত্ব কমবে, আধুনিক সড়ক, ব্রিজ, হাসপাতাল ও অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে দিঘলিয়া এক আধুনিক এলাকায় পরিণত হবে।
বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন, যেমন জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক খান জুলফিকার আলি জুলু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোল্লা সাইফুর রহমান মিন্টু, অর্থাৎ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীরা।






















