বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেবা বন্ধ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রি, ছেঁড়াফাটা নোটের বিনিময়, পাশাপাশি সরকারি চালানসেবা এবং চালান-সংক্রান্ত ভাঙতি টাকা কার্যক্রম। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, এই সেবাগুলো কিছু সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
শুরুর হিসেবে প্রাথমিকভাবে দেশের বড় বড় শহরের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অফিসগুলো—যেমন মতিঝিল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, খুলনা, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং সদরঘাট—এসব সেবায় বিরত থাকবে। তবে ব্যাংকগুলো যেন সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে এই পরিষেবাগুলো নিতে পারে, সে জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংক শাখাগুলোর উপর তদারকি ও মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ হলো, সঞ্চয়পত্রের সার্ভার জালিয়াতির ঘটনা। এ কারণে নিরাপত্তার দিক থেকে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী অন্য দেশগুলো এই ধরণের সেবা প্রদান করে না।
শিল্পক্ষেত্রের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও সার্ভার নিরাপত্তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান হওয়ায়, নিরাপত্তার ঝুঁকি মোকাবেলায় সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ জরুরি হয়ে পড়ে। এতে করে ব্যাংকের স্বচ্ছতা এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।






















