প্রতিবেদনের সূত্রে জানা গেছে, জুলাই মাসে বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়ার পর থেকে পাকিস্তান এখন 공식ভাবে এই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করছে। পাকিস্তান এই রায়কে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার হিসেবে দেখলেও, তাদের পক্ষ থেকে একে স্বাভাবিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র তাহির আন্দরাবি সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, যা তারা তাদের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধান করতে পারে। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান বিশ্বাস করে যে বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের এলাকা ও পরিস্থিতি নিজেদেরই মোকাবিলা করতে সক্ষম।
বিশ্লেষণমূলকভাবে জানানো হয়েছে, গত সোমবার একটি আন্তর্জাতি অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনােকে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। সেখানে রাজ্যের দোষ মানার পাশাপাশি বলা হয়েছে, গত বছর ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি প্রাণঘাতী হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। এই রায়ের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা এই ঘটনাটিকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।
এদিকে, এই বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়, যেখানে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটি একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং বাংলাদেশের জনগণ নিজেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম।
প্রায় ১৫ মাস আগে দুর্বল পরিস্থিতিতে ছাত্র আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা থেকে সরে গিয়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। সেই সময় তার বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহারের জন্য আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। এই আন্দোলনে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।
রায় কার্যকর হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে জোর দিয়েছে, হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য যদি না দেওয়া হয় তবে এটি অত্যন্ত অবাধ্য ও অসুস্থ আচরণ হবে। বাংলাদেশ বলেছে, দুই দেশের মধ্যে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত ভারত তার জন্য রাজি নয়। ভারত মনে করে, তারা সবসময় বাংলাদেশির শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে কাজ করবে এবং এ সংক্রান্ত সব অংশীদারদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে।


















