ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী জাভা দ্বীপের মধ্যাঞ্চলে কিছু গ্রামে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। ব্যাপক বর্ষণের কারণে কিলাকাপ ও বাঞ্জারনেগারা শহরে বিচ্ছিন্নভাবে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে, যেখানে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়ে গেছে ৩০ জনে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ এখনও কমপক্ষে ২১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
দুর্যোগের প্রাথমিক ধাক্কায় শহর দুটির অনেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছেন। বাঞ্জারনেগারা শহরের মর্মান্তিক ভূমিধসের কারণে এখন পর্যন্ত ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, আর কিলাকাপে এই সংখ্যা ২০টিতে পৌঁছেছে। তবে নিখোঁজের সংখ্যায় বাঞ্জারনেগারা শহরই বেশি, যেখানে কমপক্ষে ১৮ জন এখনও খোঁজে বের হওয়ার অপেক্ষায়।
দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের মুখপাত্র আবদুল মুহারি জানিয়েছিলেন, ‘নিখোঁজ ২১ জনের মধ্যে ১৮ জন এই শহরেই রয়েছেন।’ তিনি আরো জানান, বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞের কারণে আজকের পর্যন্ত অন্তত ৭৫০টি বাড়িঘর ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭ জনকে হাসপাতাল নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, দ্রুত উদ্ধার কাজ চালাতে বাঞ্জারনেগারা থেকে ৯০০ এর বেশি এবং কিলাকাপ থেকে ২০০ এর বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মুহারি বলেন, ‘আমরা এখনই সম্পূর্ণ স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারছি না। জঞ্জাল সরিয়ে কাজ চালানো বেশ কঠিন, আবার বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় নতুন করে ভূমিধসের আশঙ্কাও রয়েছে।’ তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘তবে আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম চলবে অন্তত আরও এক সপ্তাহ পর্যন্ত।’ এই দুর্যোগের ফলে উদ্ধারকর্মীদের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ হলো ধ্বংসস্তূপ সরানো এবং দুর্যোগের পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি মোকাবিলা করা। সূত্র: এএফপি।


















