স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
নির্বাচনের আগের সময়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে প্রশ্নেআশা করলে তিনি নিশ্চিত করে বলেন, এ ধরনের কোনো শঙ্কা নেই। তিনি বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিক্ষোভ, মিছিল ও সমাবেশের পরিমাণ বাড়তে থাকবে।
তিনি যোগ করেন, যখন তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন, তখন আইনশৃঙ্খলা খুবই খারাপ অবস্থায় ছিল। একদশক পেরিয়ে গেল, এরপর একে এগিয়ে নেওয়ার জন্য দেড় বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি উন্নতির দিকে নিয়েছে।
একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষকের মন্তব্যে তিনি বলেন, দেশে যে পরিমাণ অপরাধ চলছে, তা দেখে মনে হয় কি আমরা এক কঠিন সময় পার করছি—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এ বিষয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষকের মতামত থাকলেও, তিনি তাদের যোগ্যতা নিয়ে অবগত নন। কারণ বর্তমানে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্লেষক হিসেবে নিজেকে পরিচিত করছে; তবে কারা কত যোগ্যতা নিয়ে বিশ্লেষক হয়েছে, সেটিও তার জানা নেই।
এক প্রশ্নে ভূমিকম্প সম্পর্কেআরো জানাতে গিয়ে বলেন, অন্য কোনো দেশে ভূমিকম্পের জন্য আগাম সতর্কতা থাকলেও আমাদের দেশে এর ব্যবস্থা নেই। কিছু দেশে এমন অ্যাপ বা প্রযুক্তি রয়েছে যেখানে মাত্র দশ সেকেন্ড আগে সতর্কতা দেয়া যায়; এই বিষয়টি নিয়েও তিনি ভাবছেন। তিনি আরও বলেন, বেশ কিছু সময়ের ব্যবধানে ভূমিকম্প হলে সাধারণত দ্বিতীয়টি ছোট আকারের হয়। তবে এই বিষয়ে তারা বিশেষজ্ঞ নন, তাই বিষয়টি পরবর্তীতে আকাশবীরদের সঙ্গে আলোচনা করে বুঝে নেবেন।
অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে ভবিষ্যতে ভবন নির্মাণে নির্মাণ কোডয়ের মান মানার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। বলেন, জলাশয় ভরাট করে নির্মিত ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। ভূমিকম্প হলে কারো দাঁড়িয়ে থাকার জন্য কিছু খেলার মাঠ বা খোলা জায়গা থাকা দরকার। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা নিতে হবে।
সাম্প্রতিক ক্ষমতা প্রয়োগের অংশ হিসেবে মধ্যরাতে এক সাংবাদিককে ডিবি তুলে নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্নে তিনি জানান, এ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, সাংবাদিকের মাধ্যমে রিপোর্টে যে কাজটি হয়েছে, তা সাংবাদিকদের নয়, বরং অন্য ধরনের কাজ ছিল বলে তাঁরা মনে করছেন।















