চট্টগ্রামের জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীর ভাইরাল বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চট্টগ্রাম মহানগর শাখা। দলটি মনে করে, এই বক্তব্য সুশাসন ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থার জন্য একটি বড় হুমকি এবং মাফিয়াতন্ত্র কায়েমের ইঙ্গিত বহন করে। রোববার দলটির চট্টগ্রাম মহানগর যুগ্ম-সমন্বয়কারী (দপ্তর) আরিফ মঈনুদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তারা জানায়, বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তারা জানতে পেরেছে যে, গত ২২ নভেম্বর শনিবারচট্টগ্রামের প্রবীণ জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী পুলিশ-প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন জামায়াতের নেতাদের উঠবস করানোর, মিথ্যা মামলা দেওয়ার এবং গ্রেফতার proceedings চালানো। এছাড়া তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জামায়াতের মার্কার প্রচার এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্থানীয় জামায়াত প্রার্থীর জন্য উন্নয়ন বরাদ্দ প্রদান করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তারা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেন, শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যে পুলিশ-প্রশাসনকে ক্ষমতাসীন দলের লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষমতায় যাওয়ার কর্তব্য হিসেবে উপস্থাপন করার অপপ্রয়াস রয়েছে। এই ধরনের অজস্র ঘৃণ্য প্রচেষ্টার নিন্দা ও কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়। দলটি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করে, রাজনীতির সুবিধা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে কুক্ষিগত করে মাফিয়াতন্ত্র কায়েমের অপচেষ্টা আর চলবে না। বিবৃতিতে বলা হয়, এমন পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের জনগণের আশা ছিল নতুন ও সুবিচার রাজনীতি প্রতিষ্ঠার। সেই লক্ষ্যে তারা সকল সময় জনগণের নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে তারা সবসময় সচেষ্ট। জাতীয় নাগরিক পার্টি-চট্টগ্রাম মহানগর সবসময়ই মাফিয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তারা বিশ্বাস করে, পুলিশ ও প্রশাসন দেশের জনগণের সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে, কোনও দলবিশেষের গোলাম হয়ে থাকবে না। প্রশাসনকে দলীয়ীকরণ করার অপচেষ্টা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বড় একটি বাধা। তারা এই ধরনের প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়ে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানায়। তারা আশা করে, বর্তমান সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রশাসন নিরপেক্ষ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেবে, যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হয়।






















