খুলনায় মোবাইল হ্যান্ডসেটের বাজারে সিন্ডিকেট গঠনের চেষ্টা রুখতে ব্যবসায়ীরা সামগ্রিকভাবে সব মোবাইল মার্কেট বন্ধ করে দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ শিববাড়ি মোড়ে ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করেছেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে তারা মোবাইল ব্যবসায়ের সামগ্রিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন।
দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেটের আমদানির ওপর ৫৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সিস্টেম—এসব সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মোবাইল ব্যবসায়ীরা মনে করেন, এ নীতি বাস্তবায়িত হলে দেশের কোটি মানুষ প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে পড়বে, মোবাইলের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে যাবে এবং পুরো মোবাইল খাতের স্থিতি বিপর্যস্ত হবে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, দেশের ৬০-৭০ শতাংশ ব্যবসায়ীকে বাদ দিয়ে মাত্র ৩০ শতাংশ প্রভাবশালী ব্যবসায়ী একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে চাচ্ছে। তারা অভিযোগ করেন, বর্তমানে দেশের মোবাইল বাজারের প্রায় ৮-৯ জন লাইসেন্সধারীর দখলে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। এই অজুহাতে, ২০ কোটি মানুষের দেশে মোবাইল ব্যবসার লাইসেন্স সংখ্যাটি অযৌক্তিকভাবে খুবই কম। বাজারে স্বাভাবিক প্রতিযোগিতা ও ভারসাম্য বজায় রাখতে লাইসেন্সের সংখ্যা অন্তত পাঁচ হাজারে উন্নীত করার দাবি জানান তারা।
বক্তারা আরও বলেন, সিন্ডিকেটের এই প্রভাব কয়েকজন প্রভাবশালী মুনাফাখোর গোষ্ঠী এনইআইআর সিস্টেমকে ব্যবহার করে বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে। এর ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আর সাধারণ মানুষ বেশি দামে মোবাইল ফোন কিনতে বাধ্য হবে। তারা প্রশ্ন করেন, ভোক্তাদের ক্ষতি কেন? এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ চাই।
খুলনা মহানগর মোবাইল ফোন ও অ্যাক্সেসরিজ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কায়েসুল আজাদ শাকিলের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম পল্টুর পরিচালনায় মানববন্ধনে বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতা ও অংশগ্রহণকারী বক্তব্য রাখেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আমিনুল ইসলাম রনি, খোরশেদ আলম, মাকসুদ রানা মুরাদ, মো. নুর ইসলাম সরদার, আজিজুল আমিন, ইমরান হাসান, মো. বেলাল হোসেন, নিহাল আহম্মদ হিরা, মোস্তফা কামাল ও শাহনাজ আলী জনি।






















