রিপন মণ্ডল ও রাকিবুল হাসান শক্তিশালী পারফরম্যান্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের জয়ের সুযোগ তৈরি করেছিলেন। সাদ মাসুদ শেষের ক্যামিও দেখে দুর্দান্ত বোলিং করে পাকিস্তানকে ১২৫ রানে আটকে রাখেন। প্রত্যাশার কথা ছিল হাবিবুর রহমান সোহান ও জিসান আলমের প্রথম পর্যায়ে ভালো শুরু, যা কিছুটা সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। কিন্তু কিছু ওভারের মধ্যেই পাকিস্তানের স্পিনাররা ঘুর্ণিগর্জিত বোলিংয়ে বাংলাদেশকে ছন্নছাড়া করে দেয়। ইয়াসির আলী রাব্বি, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও আকবর আলীর ব্যর্থতার কারণে দিনে কিছুটা আশার আলো দেখান রাকিবুল হাসান ও এসএম মেহেরব। তারা দুজনই শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি শেষ করতে পারেননি; মেহেরাব ১৯ রানে এবং রাকিবুল ২৪ রানে আউট হন।
শেষের দিকে আব্দুল গাফফার সাকলাইন ও রিপন মণ্ডল ভাগ্যনিষ্ঠভাবে জয়ের জন্য লড়াই চালিয়ে যান। জিততে হলে শেষ ২ ওভারে বাংলাদেশের জন্য ২৭ রান দরকার ছিল। সেই পরিস্থিতিতে ১৯তম ওভারে শহীদ আজিজকে তিন ছক্কা মারেন তারা। ওই ওভে ২০ রান আসে। তখন শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার হয় ৭ রান, যেখানে রিপন প্রথম বলেই দুই রান নেন। পরের বল থেকে আরও এক রান, চতুর্থ বলেও সিঙ্গেল নিয়ে স্কোর সমান করেন মাসুদ। তৃতীয় বলেও রান নিতে সক্ষম হন। তবে শেষ দু’টি বলে বাংলাদেশ ৩ রান করতে সক্ষম হয়, ফলে সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ।
সুপার ওভারে বাংলাদেশের ব্যাটিং দায়িত্বে থাকেন সাকলাইন ও মাজ সাদাকাত। প্রথমে সোহান এক সিঙ্গেল নেন, তবে দ্বিতীয় বলে দানিয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সাকলাইন। এরপর দানিয়াল ওয়াইডসহ পাঁচ রান দেন। পরের বলেই জিসানকে বোল্ড করেন। বাংলাদেশ সময় মাত্র ৬ রানে থেমে যায়।
বাংলাদেশের জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ, যেখানে পাকিস্তান এখনও তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্সে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ইতিহাস दर्ज করেছে।
এর আগে, টস হারিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেও শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম বলেই রিপন মণ্ডলের সঙ্গীতা দ্রুত সিঙ্গেল করতে গিয়ে আব্দুল গাফফার সাকলাইনকে সরাসরি থ্রোতে রানআউট করেন ইয়াসির খান। এরপর, দ্বিতীয় ওভারে মেহেরবের বলের লাইনের ভুলে মোহাম্মদ ফায়েকও উইকেট Loss করেন। জুটি গড়ার চেষ্টা করেন হাজী ঘুরি, কিন্তু এটি বড় হতে দেননি রাকিবুল হাসান।
আরও আক্রমণ করতে গিয়ে পাঁচ ওভারে গাজীকে বোল্ড করেন গাজী। অন্যদিকে, বাংলাদেশকে ভয় দেখানোর জন্য সাদাকাত চেষ্টা করেছিলেন, তবে জিসান তাকে ইন সাইড এজে বোল্ড করে পাল্টা আক্রমণ দমন করেন। সাকলাইন নিজের দ্বিতীয় ওভারে আরফাতকে ফিরিয়ে আনেন, ডানহাতি পেসার হিসেবে স্লোয়ারে আঘাত করেন। এরপর, ইরফানকে আউট করে বাংলাদেশের আর্মিও কমে যায়। তবে, পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত মাসুদের ২৬ বলে ৩৮ রানের ইনিংসের মাধ্যমে তারা ১২৫ রান তুলতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশের হয়ে রিপন তিনটি, রাকিবুল দুটি উইকেট শিকার করেন।




















