কুষ্টিয়ায় জুলাই মাসের অভ্যুত্থানের সময় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে আগামী ৮ ডিসেম্বর। এই ঘোষণা আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর একটি আদেশ দিয়ে দেয়। সাক্ষ্যপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ট্রাইব্যুনাল পর প্রথম দিন সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন আদালতের কৌঁসুলি মো. মিজানুল ইসলাম।
অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে অন্য তিনজন হলেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা। হানিফসহ এই চারজনের বিরুদ্ধে ২ নভেম্বর আদালত বিচারের আদেশ দেয়, এর আগে ৬ অক্টোবর অভিযোগ গৃহীত হয়। এই সময় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় এবং ১৪ অক্টোবর তাদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে নির্ধারিত দিনে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি, ফলে ট্রাইব্যুনাল তাদের হাজির না হওয়ার জন্য দুটি জনপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেয়। এরপর ২৩ অক্টোবর এই পলাতক আসামিদের জন্য আইনজীবী নিয়োগের ব্যবস্থা করেন ট্রাইব্যুনাল।
হানিফের বিরুদ্ধে তিনটি মূল অভিযোগ গৃহীত হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো “কমান্ড রেসপনসিবিলিটি”, যেখানে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারীদের বাধা দিতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের যথাযথ কার্যক্রমের সময় ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে সমর্থন জানানো।
আরেকটি অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ জুলাই কুষ্টিয়ার একটি বৈঠকে ‘ছাত্র জনতাকে হত্যার জন্য সরাসরি নির্দেশ’ দেওয়া এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। তৃতীয় অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, জুলাই-অগাস্টের আন্দোলন চলাকালে কুষ্টিয়া শহরে ছয়জনকে হত্যা।






















