দীর্ঘ চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে “দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে” সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক করেছিলেন কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র দেওল। ১৯৬০ সালে মুক্তি পাওয়া তার এই প্রথম সিনেমার জন্য তিনি মাত্র ৫১ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন, যা তখনকার জন্য খুবই কম। বলিউডে তার পথচলা সহজ ছিল না; প্রথমে কিছু ছবিতে ব্যর্থতার পাশাপাশি দীর্ঘ ছয় বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল সফলতার জন্য।
১৯৬৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ফুল অর পাত্থর’ সিনেমায় তার অসাধারণ অভিনয় তাকে ঝড় তুলিয়ে দেয় বলিউডে। এই ছবিতে তিনি ‘হি-ম্যান’ উপাধি পান, যা আজও তার কিংবদন্তির প্রতীক। ছয় দশকের বেশি সময় ধরে বলিউডে একক রাজত্ব করেছেন তিনি। মৃত্যুর পর এখন তার সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আমরা জানব তার কত সম্পদ রেখে গেছেন তার সন্তানদের জন্য।
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি মৃত্যুবরণকারী এই অভিনেতার স্থাবর-অস্থাবর মিলে সম্পদের পরিমাণ বেশ বিপুল, আনুমানিক ৫০০ কোটি রুপির বেশিই। তার আয়ের মাধ্যমে প্রধান অবদান ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ার, পাশাপাশি তিনি কিছু সফল সিনেমার প্রযোজনা করেছেন। এছাড়া বিজ্ঞাপন, রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ও অন্যান্য নানা সূত্রে আয় তিনি অর্জন করেছিলেন।
মুম্বাইয়ের লোনাভলা অঞ্চলে রয়েছে তার ১০০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি বিলাসবহুল ফার্মহাউস। এতে রয়েছে সুইমিং পুল, থেরাপি সেন্টার এবং মনোরম বড় বড় বাগান। বর্তমানে এই ফার্মহাউসের বাজার মূল্য আনুমানিক ১২০ কোটি টাকা।
তার আরও বিভিন্ন অঞ্চলে রয়েছে বাড়ি-জমিসহ মোট ১৭ কোটি টাকার সম্পত্তি। তদ্ব্যতীত, কৃষি জমি ও পরিত্যক্ত জমির মূল্য প্রায় ১.৪ কোটি টাকা।
এছাড়াও তার সংগ্রহে রয়েছে বিলাসবহুল গাড়ি যেমন মার্সিডিজ বেঞ্জ এস-ক্লাস, মার্সিডিজ বেঞ্জ SL500 আর ল্যান্ড রোভার রেঞ্জ রোভারের মতো।
বলা হয়, তার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির কিছু অংশও তিনি পাবেন না তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা মালিনী। কারণ, প্রথম স্ত্রী প্রাকাশ কৌরকে ডিভোর্স না দিয়ে অন্য মহিলা হেমার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ধর্মেন্দ্র। সেই বিবাহ হিন্দু বৈধতা পায়নি বলে জানানো হয়। তবে তার দুই কন্যা, এষা আর অহনা, উত্তরাধিকার সূত্রে বাবার বিশাল সম্পত্তির ভাগ পাবেন।




















