অক্টোবর ২০২৩ এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ক্রিকেটের অমীমাংসিত মহাযুদ্ধ—the টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম আসর। এই আসরটি হবে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় এক সঙ্গে। পুরো ২০ দলের এই টুর্নামেন্টের আয়োজন শুরু হবে আড়াই মাসেরও বেশি সময় আগে, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। বাংলাদেশ দল নিজের প্রথম ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, কারণ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) প্রকাশ করেছে করে পুরো সূচি ও গ্রুপিং। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে তার প্রতিপক্ষ হিসেবে আছেন ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নেপাল ও ইতালি। এই গ্রুপটি বেশ কঠিন বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ সবাই শক্তিশালী দলের মধ্যে পড়ে।
বিশ্বকাপের প্রথম দিন থেকেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ইডেন গার্ডেন্সে পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এই ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় শুরু হবে। এরপর আবার ফিরে আসবে কলকাতা, যেখানে ৯ ফেব্রুয়ারি ইতালির বিপক্ষে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত থাকবে লিটন দাসের দল। ১৪ ফেব্রুয়ারি, নিজের তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ, সেটিও কলকাতায়, সময় দুপুর ৩টায়। এরপর, ১৭ ফেব্রুয়ারি নেপালের বিপক্ষে খেলবে টিম বাংলাদেশ, ম্যাচটি হবে সন্ধ্যা ৭টায়।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি হবে মুম্বাইয়ে, যেখানে বাংলাদেশ এবং অন্য দলগুলো নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করার জন্য খেলবে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে দুটি করে দল সুপার এইটের জন্য উত্তীর্ণ হবে। গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অনুকরণীয় পারফরম্যান্স দেখিয়ে সুপার এইটে খেলেছিল।
এদিকে, ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস ও নামিবিয়া। উদ্বোধনী দিনে ভারত ও পাকিস্তান মাঠে নামবে। পাকিস্তান ৭ ফেব্রুয়ারি নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে খেলবে, অন্যদিকে ভারত খেলবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। ১৫ ফেব্রুয়ারি কলম্বোতে মুখোমুখি হবে বাবর আজমের পাকিস্তান ও সূর্যকুমার যাদবের ভারত।
শ্রীলংকা একটি স্বতন্ত্র গ্রুপে রয়েছে, যেখানে তার প্রতিপক্ষ আছি অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও ওমান। এই গ্রুপে চারটি টেস্ট খেলা দেশের সমন্বয়ে অ্যারে। আর আরেকটি গ্রুপ, অর্থাৎ ‘ডি’ গ্রুপে রয়েছে সাউথ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সরাসরি জায়গা করে নেবে সুপার এইটে।
সেখানে দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে দলগুলো, এবং সেরা চারটি দল নেবে সেমিফাইনাল। প্রথম সেমিফাইনাল হবে কলকাতায়, দ্বিতীয়টি হবে কলম্বোতে। দেশের ভেন্যু অনুযায়ী যদি পাকিস্তান ফাইনালে উঠে, তবে শিরোপার ম্যাচ হবে ৮ মার্চ কলম্বোতে। অন্যদিকে, পাকিস্তান যদি পরাজিত হয়, তাহলে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ভারতের আহমেদাবাদে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অন্যতম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দেখা যাবে রোহিত শর্মাকে। বাংলাদেশ দলের মূল খেলাগুলোর সূচি অনুযায়ী, প্রথম ম্যাচ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কলকাতায়, এরপর ৯ ফেব্রুয়ারি ইতালির মুখোমুখি হবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের সঙ্গে লড়াই হবে কলকাতায়, এবং শেষ ম্যাচটি হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি নেপালের বিরুদ্ধে।






















