ইন্দোনেশিয়ায় বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) আবারো ভয়ংকর ভূমিকম্প হয়েছে, এটি গত ১২ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয়বার البلادকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। ৬ দশমিক ৩ মাত্রার এই ভূকম্পন উত্তর সুমাত্রার পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানে। আশঙ্কা মুক্ত হলেও এ ধরনের কাকতালীয় ঘটনা সবাইকে আতঙ্কিত করে তুলেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আচেহ প্রদেশের কাছাকাছি সুমাত্রা দ্বীপে এই ভূমিকম্পের আঘাত পড়ে, যার গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার। ভূ-পদার্থবিদ্যা সংস্থা জানিয়েছে, এই শক্তিশালী কম্পনটি এতটাই গভীরে অনুভূিত হয়েছে যে, এর প্রভাব পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করে দেখা হচ্ছে।
চীনের শিনহুয়া বার্তা সংস্থা জানাচ্ছে, জার্মানির জিওসায়েন্স রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) বলেছে, সুমাত্রার দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে ৬.২ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ১০ কিলোমিটার গভীরে, অক্ষাংশ ২.৬৮ ডিগ্রি উত্তর ও দ্রাঘিমাংশ ৯৫.৯৬ ডিগ্রি পূর্বে।
এর আগে, বুধবার (২৬ নভেম্বর) দেশের নর্থ সুলাওয়েসি অঞ্চলে রাত ১২টার দিকে ৫.১ মাত্রার এক আরও ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ইউএস জিওলজিকাল সার্ভের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, এর উৎপত্তিস্থল ছিল তন্দানোর ২৯ কিলোমিটার দক্ষিণে, গভীরতা ছিল প্রায় ১২১ কিলোমিটার।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এ ধরনের ভূমিকম্পগুলো সাধারণত ধীরে ধীরে হলেও বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য বড় শহরেও এর প্রভাব পড়ে। গত শুক্রবার রাজধানীসহ দেশে একটি বড় ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল ৫.৭। এই ভূকম্পন এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। বিস্তারিত জানানো হয়, ভূমিকম্পের কারণে বিভিন্ন ভবন থেকে মানুষ দ্রুত নিচে নেমে আসা শুরু করেন, পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে।
নরসিংদীতে উৎপত্তি হওয়া এই ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১০ জন নিহত ও বহু আহত হন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও এর প্রভাব পড়ে। এই ঘটনাগুলোর কারণ ও ফলাফল বিশ্লেষণে বিভিন্ন সংস্থা ও জরুরি বিভাগের সমন্বিত চেষ্টা চলছে। সূত্র: ভলকানো ডিসকভারি






















