সম্প্রতি সিনেমায় নাম লেখিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা। তিনি ইতিমধ্যেই তার প্রথম সিনেমার শুটিং শুরু করেছেন। তবে এর মধ্যেই সমসাময়িক নানা অভিযোগে তিনি কেবল কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন না, বরং তার অবস্থান পরিষ্কার করতে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছেন।
আজ শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে তিশা জানান, সম্প্রতি তিনি ভারতের নির্মাতা এম এন রাজের সঙ্গে ‘ভালোবাসার মরশুম’ নামে এক সিনেমার কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। তবে সেখানে কিছু ভুল তথ্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়ায় তিনি বিব্রত বোধ করছেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন, সিনেমার চুক্তিপত্রে সব বিষয়ই তার আইনগত পরামর্শ অনুযায়ী স্বাক্ষরিত হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছিলো যে তার বিদেশ যাওয়া ও ভিসা সম্পৃক্ত সব দায়িত্ব নির্মাতা দলের। এতে উল্লেখ ছিলো, ভিসা, ফ্লাইট টিকিট এবং থাকা-খাওয়ার বিষয়গুলো তাদের দায়িত্ব।
তিশা এও জানিয়েছেন, দুর্ভাগ্যক্রমে, নির্মাতা ভিসা নিয়ে জটিলতায় পড়ে পারেননি। তিনি নিজেও ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, কিন্তু ভিসাপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। এ কারণে, চুক্তি অনুযায়ী তার বদলে অন্য একজনকে চরিত্রে নেয়া হয় এবং সেই অভিনেত্রী অভিনয় করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশের একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন, যার শুটিং এখনো চলমান। তিনি বলেন, সিনেমাটি তার পেশাগত সম্মানের ব্যাপার, এই খাতিরে কোনও ভাবেই তিনি সেটি নষ্ট করতে চাননি। কিন্তু পরিচালক শিডিউল অনুযায়ী কাজ শুরু করতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং নতুন অভিনেত্রীকে চুক্তিবদ্ধ করে নেওয়ায়, তাকে অবশ্যই সেখান থেকে সরে দাঁড়াতে হয়।
অভিযোগের প্রসঙ্গে তিশা উল্লেখ করেন, প্রযোজক শরিফ খান একদিকে তাকে টাকা ফেরত দিতে বলছেন, আবার অন্য সময়ে টাকা ফেরত না দিয়ে ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, শরিফ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আমার আইনি কাগজপত্রেও ভুল তথ্য দিয়ে আমার ক্যারিয়ার নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
তিশা স্পষ্ট করেছেন যে, তার চুক্তিপত্রে কোনও অবস্থায় এমন শর্ত নেই যে, ডিরেক্টরের দোষ হলে তাকে টাকা ফেরত দিতে হবে। তিনি বলেন, আমি আইনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রাখি। যদি কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেন যে, আমি কোনও অর্থ ফেরত দেবার দায়ী, এবং আদালত এমন নির্দেশনা দেন, আমি অবশ্যই সম্মতি জানাব এবং প্রয়োজন হলে টাকা ফেরত দেব। তিনি পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত আছেন, তবে সব কিছু আইনি প্রক্রিয়া ও সততার ভিত্তিতে হবে বলে আশা করেন।





















