বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্ত। এই নির্বাচন দেশের ভবিষ্যত ও গণতন্ত্রের বিভিন্ন দিকের জন্য অমূল্য—এটি আমাদের সকলের collective দায়িত্ব। যদি আমরা এই নির্বাচনে ভুল পদক্ষেপ নিই বা অসর্তকতা প্রদর্শন করি, তাহলে আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব এবং জনমানুষের স্বাধিকার অনেকটাই compromised হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বিশ্বাস ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এই ভুলের ফাঁদে পা দেবে না। বুধবার ঠাকুরগাঁও শহরে ন্যাশনাল এসোসিয়েশন অফ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অফিসের (ইএসডিও) কার্যালয়ে এক বিশেষ সুধী সমাবেশে এই মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস হচ্ছে সংগ্রামের, প্রতিরোধের এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ইতিহাস। এদেশের মানুষের সেই ঐতিহ্য আজও একইভাবে জাগরুক। ১৯৭১ সালে যাদের জন্য আমরা লড়াই করেছিলাম, যুদ্ধে ঝাঁপিয়েছিলাম, সেটি ছিল একটি সত্যিকারের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের নির্মাণের উদ্দেশ্য। তিনি আরও বলেন, আমরা এখনও সেই পথে অটল আছি এবং এই পথে দেশের ৭০ শতাংশ মানুষও অনড়।
তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, সত্যের জয় হবে এবং এর উদাহরণ হিসেবে তিনি দেখিয়েছেন বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, এই দিন দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি, তিনি ঢাকা কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকা ও তাদের জন্য সরকারের আরও দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, অগ্নিনির্বাপণের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা, দায়িত্বশীলতা ও সমন্বয় থাকলে এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কমে আসবে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন, সম্প্রতি বাউলদের ওপর হামলার জন্য। এই ঘটনা তিনি উল্লেখ করেন উগ্র ধর্মান্ধ অপশক্তির দ্বারা পরিচালিত একটি বরং অপ্রত্যাশিত দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, বাউলরা মাঠ-ঘাটে গান গেয়ে দেশের সংস্কৃতি বিকাশে অবদান রাখে, তাদের ওপর হামলা অপপ্রচার ও হিংসার ফল। এই ধরনের হামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি সভাপতি মির্জা ফয়সল আমীন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলীসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।






















