বাংলাদেশের জন্য প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছিল মোটেও সহজ নয়। স্বাগতিকরা যদি ১৮২ রানের লক্ষ্য তাড়ার রেকর্ড গড়তে পারেন, তবে তারা সেটাই করতে পারেননি। শুরুতেই দারুণ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে তারা। ইনিংসের তৃতীয় বলেই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম উইকেট হারান। বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু হামফ্রিসের বলে উড়ানোর চেষ্টায় মিড অনে হ্যারি টেক্টরের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। পরের ওভারে লিটন দাসও যান। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ৩৯ রানের মধ্যে বাংলাদেশের দুই ওপেনারই ফিরে যান। এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য এক বাজে সূচনা।
অধিনায়ক লিটন দাস মাত্র ১ রান করে আউট হন। পারভেজ হোসেন ইমনও সুবিধাজনক সময়ে ঝড় তুলতে পারেননি; অ্যাডায়ারের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে জর্জ ডকরেলের হাতে ক্যাচ দেন। তিনি ৬ বলে ১ রানের বেশি করতে পারেননি। এর আগে, সাইফ হাসানও পাওয়ার প্লে শেষে ফিরে যান। ব্যারি ম্যাকার্থির বলে পড়ে গেলে তিনি সাজানো ইনিংসের অবসান ঘটান। তিনি ১৩ বলে ৬ রান করে আউট হন।
এর পর দ্রুত চার উইকেট হারানোর পর হৃদয় ও জাকের জুটি গড়েন। তবে ম্যাকার্থি তাদের জুটিকে খুব বেশি সুবিধা করতে দেননি। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে জাকের টেনে খেলতে চেয়েছিলেন তবে ঠিকভাবে টাইমিং করতে পারেননি, বল ব্যাটের কানায় লেগে থার্ড ম্যান এলাকায় চলে যায়। জাকেরের ব্যাটে সম্ভাব্য জোট ভাঙ্গে ২০ রানে। এই পর্যায়ে হৃদয় ও জাকেরের মধ্যে ৪৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি সৃষ্টি হয়।
তবে জাকেরের আউটের মাধ্যমে এই জুটি ভেঙে যায়। তার আগে, জাকেরের লেগে ক্যাচ চলে যায় থার্ড ম্যানের সামনে। এরপর দ্রুতই ফিরে যান সাকিব ও রিশাদও। ব্যাট হাতে মাঠে থাকাকালীন একা লড়াই চালিয়ে যান হৃদয়। তিনি অবিশ্বাস্যভাবে ৮৩ রান করেন, কিন্তু স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ৯ উইকেটে ১৪২ রানে। আয়ারল্যান্ডের হয়ে চারটি উইকেট নেন হামফ্রিস, ম্যাকার্থি ও অ্যাডায়ার তিনটি করে উইকেট নেন।
এর আগে, টস হারিয়ে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো পাওয়ার চেষ্টা করে। তবে দ্রুতই তারা প্রতিপক্ষের আঘাতের শিকার হয়। অধিনায়ক পল স্টার্লিং ২১ রান করে ফিরে গেলেও, টিম টেক্টর তার সাথে যোগ দেন। তিনি ২২ রান করেন। লরকান টাকার ১৮ ও কার্টিস ক্যাম্ফার ২৪ রান করে আয়ারল্যান্ডের স্কোর এগিয়ে নিয়ে যান। বাংলাদেশের প্রতি আক্রমণ চালিয়ে যান হ্যারি টেক্টর। ৪৫ বলে তিনি ৬৯ রান করে অবদান রাখেন। শেষের দিকে আয়ারল্যান্ড ১০৪ রান যোগ করে শেষ ১০ ওভারে। এর ফলে তারা ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান সংগ্রহ করে। এই স্কোর বাংলাদেশের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে।






















