ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের একটি মামলায় বাউলশিল্পী আবুল সরকারকে গ্রেফতারের পর তার মুক্তির প্রত্যাশায় মানিকগঞ্জে অর্ধশতাধিক বাউলজন তাদের আন্দোলন চালাচ্ছিলেন। এ সময় কিছু দুষ্কৃতকারী তৌহিদি জনতার পক্ষ থেকে হামলার শিকার হন, যা ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার সময় এক নারী বাউল শিল্পী গুরুতর এক অভিযোগ তুলে ধরেন, যেখানে তিনি বলেন, পুরুষ বাউলরা বিছানায় ডাকে। যদি নারীরা এই ডাকে সাড়া দেয়, তবে তারাই গানের প্রোগ্রামে অংশ নেয়। অন্যথায় তারা ডাকে না। তিনি স্পষ্ট করে কোনো ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেননি।
এই বিস্ফোরক অভিযোগটি করেছেন বাউল শিল্পী হাসিনা সরকার। তিনি এক ভিডিও বার্তায় বাইরের দৃষ্টিকোণে এমন পরিস্থিতির কথা শেয়ার করেছেন, যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
হাসিনা সরকার বলেন, আমি এক সময় বলতাম—আমার আর কিছু প্রোগ্রাম থাকছে না, তবে কিছু লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বলতাম। তখন তারা বলতেন—আমাদের কথা শুনতে হবে। আমি প্রশ্ন করতাম—কী হবে? তখন তারা বলে—‘এটা কি খুলে বলতে হবে?’ আমি তাদের বলতাম—মাফ চাই, দোয়া চিচ, তবে আমার এসব প্রোগ্রাম দরকার নেই। আমি চাই না আমার ইজ্জত বিক্রি করে এ ধরনের গান করতে। আমার মতে, এটি আর বাউল গান হিসাবে বিবেচিত হয় না।
তিনি আরও বলেন, পুরুষ বাউলরা অবিবেচনাপ্রসূত প্রস্তাব দিচ্ছেন। তারা বিছানা নেয়, আর তার বদলে গান গাওয়ার সুযোগ দেয়। আমি একজন বাউল শিল্পী হিসেবে বলতে চাই, এখন বাউল সমাজে এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আমাকে কেউ ডেকে না শোনানো, আমার কথা কারো কানে পৌঁছায় না—এ všetি কিছু আমার জন্য গুরুত্ব দাবী করে না। আমি স্বয়ং বলছি, অনেক পুরুষ বাউল এ ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। তারা বলেন—‘আমাদের কথা শুন, আর তুই বায়না করলেই তোর জন্য সুবিধা হবে।






















