চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিদেশি কম্পানির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে চলমান প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্ট দ্বৈত রায় দিয়েছেন। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফাতেমা নজীব চুক্তি প্রক্রিয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন, অপর দিকে জুনিয়র বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ার চুক্তির প্রক্রিয়াকে বৈধ বলে রায় দেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুই বিচারপতির আলাদা আলাদা রায়ে এই বিভক্তি প্রকাশ পায়। এই বিষয়ে এখন প্রধান বিচারপতি একটি নতুন বেঞ্চ গঠন করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
আদালতে এই বিষয়ে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সহ অন্য আদালত স্বজনরা। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর শুনানি শেষে এই রুলের ওপর মতবিনিময় শেষে সিদ্ধান্তের জন্য ধাপে ধাপে দিন ধার্য করা হয়। এর আগে, ৩০ জুলাই এই চুক্তির বৈধতা ও চলমান প্রক্রিয়ার উপযুক্ততা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে রুল জারি করে হাইকোর্ট।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে ষষ্ঠবারের মতো এই রুল ভাইরাল হয়। হাইকোর্টের গঠিত বেঞ্চ প্রথমে এই প্রক্রিয়াকে আইনবহির্ভূত বলে ঘোষণা করার জন্য নির্দেশ দেয়। এরপর বিভিন্ন পক্ষের আপত্তির মুখে এই বিষয়ে দ্বৈত রায় আসে।
এই রুলের মধ্যে বলা হয়, কোনও অপারেটরকে এই টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার আগে যথাযথ আইনি ও নীতিগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, যেন ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র বিডিং নিশ্চিত হয়। ফলে, এ পরিস্থিতিতে এই প্রক্রিয়ার বৈধতা ও ন্যায্যতা নিয়ে যথাযথ তদন্ত ও সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করা হচ্ছে।


















