বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র ৮৯ বছর বয়সে দ্বিতীয় নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পর প্রথমবার তার স্ত্রী ও সহ-অভিনেত্রী হেমা মালিনী মুখ খুলেছেন। ২৪ নভেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বেশ কয়েকদিন ধরে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা চলছিল। মৃত্যুর সময় তার জুহু বাসভবনের সামনে অ্যাম্বুলেন্স দেখা যাওয়ার পর উদ্বেগ বেড়েছিল, অবশেষে নিশ্চিত হওয়া যায় তিনি আর জীবিত থাকতে পারেন না। মুম্বাইয়ের পওন হানস শ্মশানে তার শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের মনীষীরা—অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, সালমান খান, আমির খানসহ অন্যান্য প্রীয় তারকারা।
ধর্মেন্দ্রর এই অকাল প্রয়াণের খবরের ব্যাপ্তি যতই সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে, ততই মানুষের মনে শোকের ছায়া কেঁপে উঠছে। তবে গেঁথে থাকা নীরবতাকে ভেঙে এবার মুখ খুললেন হেমা মালিনী। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি আবেগঘন বার্তা শেয়ার করেন। সঙ্গে তার স্বামীর সাথে অজস্র অদেখা ছবি প্রকাশ করেন, যা দেখলে অন্তর কাঁৃপ ওঠে।
হেমা লিখেছেন, ধর্মজি ছিলেন তার জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের অংশ। তিনি ছিলেন একজন প্রেমের স্বামী, তার দুই কন্যা ঈশা ও অহনার ভালোবাসার বাবা, স্নেহশীল বন্ধু, দার্শনিক, পথপ্রদর্শক, কবি এবং জীবনের কঠিন সময়গুলোয় ভরসার স্থির বিশ্বাস। হেমা ব্যক্ত করেন, ধর্মেন্দ্র সবসময় পরিবারের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য বজায় রেখেছিলেন।
তিনি আরও জানান, একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেও ধর্মেন্দ্রর প্রতিভা, জনপ্রিয়তা ও বিনয় তারকে জনমানসে এক অনন্য স্থান দিয়েছে। এর মাধ্যমে তাকে যেন চিরকাল স্মরণ করে রেখার প্রয়োজন রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে এই শূন্যতা বহন করা কঠিন হলেও, স্মৃতি ও ভালোবাসার আলোর মধ্যে তিনি আপামর শান্তি খুঁজে পাবেন বলে বিশ্বাস করেন।
প্রসঙ্গত, বলিউডের এই কিংবদন্তি জুটি হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্রর প্রেম ও বিবাহের গল্প ছিল সিনেমার মতো রোমাঞ্চকর ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ধর্মেন্দ্র প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর থেকে সন্তানেরা—সানি, ববি, বিজেতা ও অজিতা দেওল। সিনেমায় কাজ করতে গিয়েই ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে হেমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে, যা পরে গভীর বন্ধনে পরিণত হয়।
১৯৮০ সালে তারা বিবাহ সম্পর্কে আবদ্ধ হন। এ ঐতিহাসিক বিয়ে তখন ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করে, তবে তার পরেও তাদের সম্পর্কের গভীরতা ও ভালোবাসা কখনো কমেনি। তাদের সংসারে জন্ম নেয় দুই কন্যা—ঈশা ও অহনা। বিতর্কের শেষ নেই, কিন্তু চার দশক ধরে নিজেদের দাম্পত্য জীবনে প্রেম ও বিশ্বাসের বন্ধন অটুট রেখেছেন তারা। একসঙ্গে কাজ করেন ৪০টিরও বেশি সিনেমায়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য


















