বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এক নতুন গর্বের অধ্যায় যোগ হলো। প্রথমবারের মত মর্যাদাপূর্ণ অ্যাশেজ টেস্ট সিরিজে অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাংলাদেশের আইসিসি এলিট প্যানেলের সদস্য শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। এই অনন্য অর্জনের মাধ্যমে তিনি দেশের ক্রিকেটের জন্য গর্বের কোনও ব্যাপার হয়ে উঠেছেন, কারণ এটি কেবল তাঁর ব্যক্তিগত সাফল্যই নয়, বরং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উপস্থিতির এক বিশাল মানদণ্ড।
এই দারুণ সুযোগ পেয়ে প্রশংসায় ভাসান বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস। তিনি নিজের ফেসবুক পেজে সৈকতকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছেন, ‘সৈকত ভাই, অ্যাশেজ সিরিজে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা। এটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই নয়, এটি পুরো বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের জন্য এক গর্বের ও ঐতিহাসিক ঘটনা। বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এই সিরিজে আপনার মতো একজন বাংলাদেশির অংশগ্রহণ সত্যিই অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। আমি আশা করি, আপনার সফলতা অন্য আরও অনেক ক্রিকেটারকে inspired করবে এবং বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি ট্যালেন্ট এই উচ্চতানে পৌঁছাতে পারবে।’
ইমরুলের এই উচ্ছ্বাস আর গর্বের প্রকাশটাই দেখিয়ে দেয়, এ ধরণের অর্জন কেবল ব্যক্তিগত সফলতা নয়, এটি জাতির জন্য সম্মানের বিষয়।
অ্যাশেজ সিরিজের গুরুত্ব বুঝতেই পারি, যেখানে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী ও মনোমুগ্ধকর দিকগুলোর মধ্যে একটি এটি। বাংলাদেশের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া মানে হলো আন্তর্জাতিকমানের স্বীকৃতি। এর আগেও সৈকত ধারাবাহিকভাবে বিশেষ কিছু ম্যাচে দায়িত্ব পালন করে নিজের দক্ষতা আর পেশাদারিত্ব দেখিয়েছেন। তিনি আইসিসির এলিট প্যানেলে ঠাঁই পেয়েছেন, যেখানে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি ও বিশ্বকাপের ম্যাচে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
তবে এই অ্যাশেজ সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া তার ক্যারিয়ারের জন্য এক নতুন দূরত্বের সূচনালগ্ন। সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সিরিজগুলোতে আম্পায়ার করা মানে হল সব প্রতিযোগিতায় শীর্ষ পর্যায়ের স্বীকৃতি, আর এখন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে এই সম্মান অর্জন করেছেন শরফুদ্দৌলা সৈকত। এটি নিশ্চিতভাবেই দেশের জন্য একটা বড় অর্জন, যা দেশের অন্যান্য তরুণ আম্পায়ারদের জন্যও অনুপ্রেরণা জুগাবে।


















