বাংলাদেশে বড় ধরনের বিভাজনের পথ তৈরি করার চেষ্টার অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠী বা মহল ধর্মের নাম করে দেশের মধ্যে বিভাজন তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। রোববার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়িতে বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ এক কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ফখরুল অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দুঃশাসন ও বর্বর আচরণের মাধ্যমে দেশের সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে নতুন করে সব প্রতিষ্ঠানকে গঠন ও পুনর্বহাল করতে জরুরি হয়ে পড়েছে।
মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের মানুষ সব সময় ধর্মভীরু। আমরা অবশ্যই ধর্মকে মানি, কিন্তু ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মূল ভিত্তি ছিল সবার জন্য স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
বিএনপিকে এগিয়ে নিতে বাধা দেয়ার অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে তিনি দৃঢ়ভাবে বলছেন, সব অপপ্রয়াস পরাজিত করে আমাদের দল ও দেশের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
তরুণ সমাজের মনোভাব পরিবর্তনের বিষয়ে ফখরুল মন্তব্য করেন, সবাই পরিবর্তন চায়। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন এখন অনেকের মধ্যে। পুরনো রাষ্ট্রীয় কাঠামো আর টেকসই নয়, তাই আমাদের ভাবনায় পরিবর্তন আনা আবশ্যক। তিনি নিজ দলকে নতুন চিন্তাধারায় গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
ছাত্রদলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচিকে গ্রাম ও শহরে ব্যাপকভাবে পৌঁছে দিতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র দলের সংগঠন আরও শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন। উল্লেখ করেন, শিক্ষাখাতে তাদের উপস্থিতি ও কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি দরকার, যাতে বিগত নির্বাচনে ফলপ্রসূ ফল পাওয়া যায়।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন তিনি। বলেন, তার চিকিৎসার জন্য সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তারেক রহমান নিজে তার চিকিৎসা তদারকি করছেন। দেশের ও দেশের বাইরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দ্বারা তার যত্ন নেওয়া হচ্ছে। ওইসব দোয়া ও প্রার্থনার মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তা যেন তার সুস্থতা কামনা করেন, সেটাই প্রত্যাশা বিএনপির।


















