শ্রীলঙ্কায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি নতুন করে ভূমিধসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের কারণে ইতোমধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৬১৮ জনে দাঁড়িয়েছে, আরও নিখোঁজ রয়েছেন ২০৯ জন। রোববার শ্রীলঙ্কান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র জানিয়েছে, চলমান মৌসুমি ঝড়ের কারণে দেশজুড়ে বারবার ভারী বর্ষণ হচ্ছে। পাহাড়ি এলাকাগুলোর ঢাল দ্রুত অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে, বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিম মধ্যভূমি অংশগুলোতে। জলবায়ু সংকটের কারণে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে, যার ফলে গত সপ্তাহে থেকেই বন্যা ও ভূমিধসে প্রায় ১০ শতাংশ জনসংখ্যা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অর্থাৎ দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ তাদের বাসস্থান হারিয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য স্থানীয় প্রশাসন হেলিকপ্টার এবং বিমান দিয়ে সহায়তা পাঠাচ্ছে, বিশেষ করে কেন্দ্রস্থল এলাকাগুলোতে। দুর্যোগের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে, এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৭৫ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৫ হাজার সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, এই ক্ষতি মোচনের জন্য প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার অর্থের প্রয়োজন হতে পারে। অন্যদিকে, এশিয়ার অন্য দেশগুলোতেও এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় অব্যাহত রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে বন্যা ও ভূমিধসে মৃত্যুর সংখ্যা ৯০০ পার করেছে। থাইল্যান্ডে কমপক্ষে ২৭৬ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে, আর মালয়েশিয়ায় দু’জন নিহত হয়েছেন। ভিয়েতনামে ভারী বর্ষণের ফলে ধারাবাহিক ভূমিধসে কমপক্ষে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সব ঘটনার মধ্যে প্রকৃতি আমাদের ওপর এর প্রভাব আরও বেশি স্পষ্ট করে দিয়েছে, আরেকবার提醒 দিচ্ছে আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের আশঙ্কার কথা।


















