বর্তমানে চলমান নির্বাচন পরিস্থিতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, নির্বাচন পর্যায়ে একটি ন্যায্য ও সমান সুযোগের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এর ফলে তারা নির্বাচনকে স্বাধীন ও সুষ্ঠু বলে মনে করছে না। তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে পরিস্থিতি সুস্থ করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া উচিত। সোমবার নির্বাচন ভবনে ইসির সাথে এক বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তারা আবারও জানতে চেয়েছেন, তফসিলের সিদ্ধান্ত কি হয়নি এবং এর ওপর স্পষ্ট কোনো הודעה পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, তারা আলোচনা করেছেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ, অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে। প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়াও জটিল করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, সিসিটিভি এর ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যদিও এটি বিশাল খরচের ব্যাপার। তবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অর্থের অঙ্কই প্রধান নয়, এখানে স্বচ্ছতা বেশি জরুরি।
এছাড়াও, তিনি উল্লেখ করেন, কিছু দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচনের প্রচারকালে হামলার শিকার হচ্ছেন। তফসিল ঘোষণা হলে এসব কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা নিয়েও ইসির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। জামায়াতের এই নেতা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, কমিশন সাধ্যমত সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে যাতে নির্বাচন সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য হয় বলে।
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা সবাইকে সমান সুযোগ দিতে পারেননি। কিছু প্রশাসনিক অসঙ্গতির বিষয়ে তারা সুনির্দিষ্ট তথ্য তুলে ধরেছেন, যাতে করে নির্বাচন সুষ্ঠুর পথে এগিয়ে যায়। যদি কোনো কর্মকর্তা অনিয়ম করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। তিনি বলেন, দলের মালিকানায় কোনো ব্যাংক নেই এবং তাদের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত নিয়োগের ঘটনা ঘটে না। ভোটের ব্যাপারে তারা কোনো আশঙ্কা করছেন না, বরং তাদের বিশ্বাস, নির্বাচন নিস্তেজ ও স্বাধীনভাবে পরিচালিত হবে।
তিনি আরও বলেন, তফসিলের বিষয়ে নিশ্চিত হতে তারা এসেছেন এবং ইসির প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। সেন্সর ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে তারা আহ্বান জানিয়েছেন এবং দাতাদের কাছ থেকে সহায়তা চেয়েছেন। তাঁরা আশাবাদী, কারণ জাতির প্রত্যাশা হলো সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। তিনি মনে করেন, ইসি জাতির অংশ হয়ে দায়িত্ব পালন করছে, এবং এটিই সংবিধান ও শপথের ওপর ভিত্তি করে কাজ করছে।






















