বাংলাদেশের জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অভিযোগ করেছে যে, জামায়াতে ইসলামি ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে দেশটিকে বিভাজন, ঘৃণা ও সহিংসতার পথে ঠেলে দিচ্ছে। তারা বলছেন, ৫ আগস্টের পরবর্তীকালের নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে গ্রহণ না করে জামায়াত পুরোনো সহিংস ও আধিপত্যবাদী রাজনীতির পথেই হাঁটতে চাইছে, যা দেশের জন্য ক্ষতিকর সংকেত।
সোমবার এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব ও মিডিয়া সেল সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৭ ডিসেম্বর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত ন্যাশনাল প্রফেশনালস অ্যালায়েন্সের (এনপিএ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে করোনা-সংক্রান্ত সহিংসতার প্রমাণ হিসেবে প্রকাশিত মন্তব্যের বিষয়টিকে তারা সম্পূর্ণ গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী ও দায়িত্বশীল বলে মন্তব্য করেছেন।
এনসিপি জানায়, ২৭ নভেম্বর পাবনা ঈশ্বরদীতে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংঘর্ষে গুলি চালানোর ঘটনাটি জামায়াতের একজন কর্মী তুষার মণ্ডল করেছে বলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ নিশ্চিত করেছে। অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া এই কর্মীর বিষয়টিকে অস্বীকার করে জামায়াতের পক্ষ থেকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চলছে।
এনসিপি মনে করছে, জামায়াত ধর্মকে ব্যবহার করে বিভাজন ও সহিংসতার রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। ৫ আগস্টের পরবর্তীতে তারা পুরোনো সহিংস ও আধিপত্যবাদী রাজনীতির পথে ‘নতুন খেলোয়াড়’ হিসেবে উপস্থিত হতে চাইছে, যা দেশের জন্য অশুভ সংকেত।
তাদের মতে, সহিংসতা, অস্ত্রের ব্যবহার এবং ধর্মের অপব্যবহার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্য আপত্তিজনক। আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল আচরণ অপরিহার্য।
এনসিপি জামায়াত আসলে সত্য, শান্তি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে, যাতে দেশ এগিয়ে যায় এক শান্তিপূর্ণ ও একটি সমগ্র জাতির পথে।





















