অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে, কারণ আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট ইস্যু করবে। এই নতুন নোটটির প্রথমে মতিঝিল অফিস থেকে মুক্তি দেওয়া হবে, এবং পরবর্তী সময়ে অন্যান্য অফিসগুলোতেও পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মঙ্গলবার।
নতুন নোটের ডিজাইন বেশ আকর্ষণীয় ও আধুনিক। এর সামনের দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি দেখা যাবে, মাঝখানে তো জাতীয় ফুল শাপলার সঙ্গে পাতা ও কলার নকশা। পেছনে রাখা হয়েছে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রতিকৃতি। বিশেষ বৈশিষ্ট্য হিসেবে, নোটের জলছাপে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ, যার নিচে ইলেকট্রো টাইপে লেখা রয়েছে ‘৫০০’ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম। পুরো নোটটি সবুজ রঙে সাজানো, যা দেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রঙের সঙ্গে সুসঙ্গত।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এই নোট বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রতœতাত্ত্বিক স্থাপত্যের উপর ভিত্তি করে নির্মিত ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রতœতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ শীর্ষক নতুন সিরিজের অংশ। এই সিরিজের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নতুন নোটগুলো প্রকাশিত হচ্ছে। এতে স্বাক্ষর হিসেবে থাকছে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের। এই সিরিজে ১০০০, ৫০০, ২০০, ১০০, ৫০, ২০, ১০, ৫ ও ২ টাকার নোটের মুদ্রণ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইতোমধ্যে ১০০০, ১০০, ৫০ ও ২০ টাকার নোট বাজারে আসন্ন।
নতুন ৫০০ টাকার নোটের নিরাপত্তার জন্য বেশ কিছু আধুনিক বৈশিষ্ট্য সংযোজিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রঙ পরিবর্তনশীল কথালি—নোটটি নাড়া দিলে ডান পাশে থাকা ‘৫০০’ লেখা সবুজ থেকে নীল রঙে পরিবর্তিত হয়। পাশাপাশি, লাল ও স্বর্ণালী রঙের পেঁচানো নিরাপত্তা সুতা যুক্ত, যা আলোতে দেখা গেলে ‘৫০০ টাকা’ লেখা ঝলমলে করে।
এছাড়াও, দৃষ্টিবঞ্চিত বা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য নোটের ডান দিকের নিচে পাঁচটি উঁচু বৃত্তের সৃষ্টি করা হয়েছে, যা স্পর্শে স্পষ্টভাবে অনুভব করা যায়। শহীদ মিনার, মূল্যমানের কিছু অংশ ইন্টাগ্লিও প্রিন্টে করা হয়েছে, যা স্পর্শের মাধ্যমে বোঝা যায়। গতিপ্রবাহে থাকাকালীন, নির্দিষ্ট কোণে ধরলে গোপনে ‘৫০০’ লেখা স্পষ্ট হয়। নোটের কাগজে ব্যবহৃত লাল, নীল ও সবুজ তন্তু বিশেষ আলোতে দৃশ্যমান হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এই নতুন ৫০০ টাকার নোট চালু হলেও পুরনো কাগজের নোট এবং কয়েনগুলো অব্যাহতভাবে চলবে। পাশাপাশি, মুদ্রা সংগ্রাহকদের জন্য বিশেষ ‘নমুনা’ ৫০০ টাকার নোট মুদ্রণ করা হয়েছে, যা টাকা জাদুঘর, মিরপুর থেকে নির্দিষ্ট মূল্যে সংগ্রহ করা যাবে।






















