বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ কমানোর জন্য নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ এই সুযোগের প্রবাহ আরও বৃদ্ধি পাওয়া এবং খরচের হিসেবনিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে, যারা বিদেশে থাকা প্রবাসীদের থেকে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করে, তাদের সব ধরনের লেনদেনের তথ্য দৈনন্দিনভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে পাঠাতে হবে। এর জন্য পৃথক দুটি সিস্টেমের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ডাটা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে প্রতিদিনের তথ্য ওই দিন বিকেল ১২টার মধ্যে জমা দেওয়া যায়।
অধিকাংশ রেমিট্যান্সের খরচ বাড়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশের ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো থেকে আরও বেশি ফি বা চার্জ নেওয়া হচ্ছে, এর পাশাপাশি করও আরোপিত হচ্ছে। ফলে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের উপর খরচ বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে খরচ কমানোর উপায় খুঁজে নেবে।
সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনও প্রবাসী বা ব্যাংক রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে যত ধরনের খরচ বা ফি আদায় করছে, তা রেকর্ড করে পরবর্তী দিন দুপুর ১২টার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রদান করতে হবে। এই তথ্যের মধ্যে থাকবে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসের নাম, লেনদেনের উপকরণ, রেমিট্যান্সের পরিমাণ, ফি, ভ্যাট বা কর, বিনিময় হার, এবং অন্যান্য খরচ। এই ডাটা বিশ্লেষণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে কিভাবে প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের খরচ কমানো যায়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের ব্যাংকগুলো প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের অর্থ সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে থাকলেও কোনরকম অতিরিক্ত ফি দিতে হয় না। তবে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বিনিময় হার এবং ফি থাকায় খরচ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দীয় ব্যাংক এই বিষয়গুলো সমন্বয় করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে প্রবাসীরা বর্তমানে যে খরচে টাকা পাঠাচ্ছেন, তা আরও কমে আসার আশা ব্যক্ত করা হচ্ছে।






















