খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে ৭৮তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও মানবাধিকার রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে এই দিনটি পালিত হয়, যার মাধ্যমে মানবাধিকার জনগণের মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য সচেতনতা ছড়ানো হয়। সার্চ মানবাধিকার সোসাইটি বাংলাদেশ, খুলনা অঞ্চল এর উদ্যোগে বুধবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর হাদিস পার্কে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। র্যালিতে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন, সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এডভোকেট শফিকুল আলম মনা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ। র্যালিটি হাদিস পার্ক থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে এসে শেষ হয়। শুরুতেই অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি। বক্তৃতার পর্যায়ে শফিকুল আলম মনা বলেন, “মানবাধিকার কোনো উপহার নয়, এটি প্রত্যেক মানুষের জন্মগত অধিকার। স্বাধীনতা ও মানবাধিকার ভাষায়, চিন্তা ও প্রকাশে সকলের জন্য সমান অধিকার। তবে স্বৈরাচারী শাসনে শেখ হাসিনার আমলে এই মৌলিক অধিকার ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে।” তিনি উল্লেখ করেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত, ভোটাধিকার হরণ, ভিন্নমত দমন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন অঙ্গনের ব্যক্তির মানবাধিকার গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, নির্মমতা ও অত্যাচারের শিকার হয়ে পড়োচ্ছে। সত্য কথা বলাকে তখন অপরাধ হিসেবে দেখা হয়। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্রের স্থায়িত্ব সম্ভব, কারণ গণতন্ত্র যতক্ষণই অবাধ ও স্বাধীন নয়, ততক্ষণই তার শক্তিও কম। তিনি আরও বলেন, “মানবাধিকারর সুরক্ষা ও আদর্শে দৃঢ় থাকাই হলো সত্যিকারের গণতন্ত্রের ভিত্তি। এজন্য সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে, পাশাপাশি দুভাবে এগিয়ে আসতে হবে, যাতে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষা হয়।” অনুষ্ঠানে র্যালির উদ্বোধন করেন সার্চ মানবাধিকার সোসাইটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান খান রেজাউল ইসলাম রেজা। সমাবেশ শেষে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন দাবির প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে নিয়ে মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকার ও সচেতনতা বাড়াতে র্যালিতে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন শেখ আব্দুস সালাম, এএইচএম শাহীন, এস এম ইলিয়াস হোসেন, এস কে মোমিন, মাহামুদ খান বিটু, মোঃ শহিদুল হক, এডভোকেট আফরোজা রোজী, ইফতেখায়রুল আরম বাপ্পি, মোঃ হাদীউজ্জামান, হাসিব হাসান, এম এম জসীম, মোঃ আতিকুর রহমান, মোঃ লিমোন মোল্লা, পিটার গাইন, মোঃ মাসুদ গাজী, এডভোকেট নাজনিন ইসলাম, নাদিরা শাফি পপি, এডভোকেট সुफিয়া ইয়াসমিন শিউলী;সহ আরও অনেকে।






















