থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান মারাত্মক সীমান্ত সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখের বেশি মানুষ নিরাপদ স্থানে পালিয়ে গেছে। বুধবার উভয় পক্ষই তাদের নাগরিকদের দ্রুত সীমান্ত থেকে আশ্রয়স্থলে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। থাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সুরসান্ত কংসিরি এক সংবাদ সম্মেলনে বলছেন, বর্তমানে চার লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, আবার বেশ কিছু স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, মোট ৭০০টিরও বেশি স্কুল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
কম্বোডিয়ার একজন প্রতিবেদনে জানা গেছে, ভারী অস্ত্রের ব্যবহারে দেশটির সীমান্তের কাছ থেকে ওয়ার্ডার থেকে ১২৭ হাজারের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সংঘর্ষের কারণে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে নয়জন কম্বোডিয়ার বেসামরিক নাগরিক আর পাঁচজন একজন থাই সৈন্য। বৃহস্পতিবার দৈনিক নম পেন পোস্ট জানিয়েছে, থাই হামলায় একজন শিশুসহ ৪৬ জন আহত হয়েছে।
উভয় দেশের সীমান্তের কাছের স্কুলগুলো বন্ধ করা হয়েছে এবং কিছু স্কুলকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, গত অক্টোবর মাসে কুয়ালালামপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে দুই দেশের শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল, যা সম্প্রতি ভেঙে যায়। দুই পক্ষই একে অপরকে সংঘর্ষের জন্য দায়ী করছে।
বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘর্ষের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ট্রাম্প দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে প্রয়োজনে ফোনে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।






















