ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদীকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলির ঘটনা নির্মমভাবে নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তারা এগিয়ে এসেছে এই হঠকারী হামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার, হুমকির উৎস শনাক্ত এবং সন্ত্রাসীদের নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি এনে।
শুক্রবার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এনসিপির যুগ্ম-সচিব ও মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন বলেন, এই হত্যাকাণ্ড কেবল একজন প্রার্থীর ওপর হামলা নয়, এটি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে থামানোর অপচেষ্টাও। তারা প্রার্থীর দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়াও চেয়েছেন। তিনি জানান, এই হামলা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নির্বাচনী পরিবেশের দুর্বলতা নতুন করে ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে, শরিফ ওসমান হাদী নিরাপত্তা হুমকি জানানো সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা বা উদাসীনতা নজর কাড়ে।
নেতৃবৃন্দরা বলেন, এর আগেও জাতীয় নাগরিক পার্টির কার্যালয়ের সামনে বারবার ককটেল হামলা হয়েছে, প্রার্থীর বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া হয়েছে, অথচ সরকারের নিস্পৃহতা ও অকার্যকরতা স্পষ্ট। এটাই দেশের বর্তমান পরিস্থিতির দৃষ্টান্ত যেখানে অপরাধীরা ভয়ংকর ক্ষমতায় স্বীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। তারা অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত আওয়ামী লীগের নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
অতীতে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালিয়ে আসছে, বাহিনী তৈরি করেছে এবং এখনো তাদের ক্ষান্ত হয়নি। এই অবিরাম সহিংসতা ও অসাম্প্রদায়িক চেহারা নষ্টের অপচেষ্টা অব্যাহত থাকায় দেশের অস্থিতিশীলতা বেড়েছে। যদি আওয়ামী লীগ এই সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে দ্রুত ও শক্তিশালী অভিযানে না নামে, তবে দেশ আবারও সহিংসতার পথে চলে যাবে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।
নেতৃবৃন্দ আকার দিয়ে উল্লেখ করেন, এখন সময় নিজের ভুল বা দোষধরার প্রত্যক্ষবিচার নয়, বরং মূল অপরাধী ও পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর। তারা জানান, বিভক্তি থাকলে সুবিধা নেবে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ ও দেশবিরোধী অপশক্তি, যারা অতীতে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার মাধ্যমে রাজনীতি কলঙ্কিত করেছে।
সবশেষে, তারা দেশের নাগরিক সমাজ, তরুণ প্রজন্ম, গণতান্ত্রিক শক্তি ও সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আমাদের দৃঢ় সংকল্প করতে হবে।
এনসিপি আরও দাবি করে, এই ভয়ঙ্কর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার, হুমকির উৎস উদ্ঘাটন এবং সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যক। তারা জোর দিয়ে বলে, শান্তি, নিরাপত্তা ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ রক্ষায় আমরা সকলের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে আছি এবং থাকবো।






















