প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাহত গাজা উপত্যকা এখন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে রয়েছে, যেখানে ঝড় ও প্রবল বৃষ্টিপাতে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অব্যাহত ইসরাইলি আগ্রাসনের মধ্যেই এই দুর্যোগ আরও কঠিন আকার ধারণ করেছে। ফিলিস্তিনের গাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পৃথক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে, এর মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। তীব্র বৃষ্টির কারণে বহু শরণার্থী শিবির ভেসে গেছে, আবার কিছু এলাকায় উড়ে গেছে গভীর টানেল ও তাঁবু। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় গাজাবাসীর দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, বিশেষ করে শীতকালে পরিস্থিতি আরও দূর্বার হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ গাজার খান ইউনুসের আল-মাওয়াসি এলাকায় ঝড় ও ভূমি ধসের কারণে অনেক তাঁবু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই এলাকায় অন্তত ৮ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস, যারা ৭৬১টি শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। উপকূলীয় অঞ্চলের অনেক পরিবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
দীর্ঘদিনের যুদ্ধ ও বাস্তুচ্যুতির কারণে এই অঞ্চলের ফিলিস্তিনিরা এখন গুরুতর বিপদের মুখোমুখি। টানা দুই বছরের বেশি সময় ধরে তারা জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, যেন দুর্যোগ মোকাবিলার কোনও প্রস্তুতি বা সামর্থ্য নেই। শরণার্থী শিবিরে তীব্র শীতের রাতে এক শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যা তাদের দুর্দশার চিত্র আরও প্রকট করে তোলে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলার কারণে মোট মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৭০,৩৬৯ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৯ জন। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে গাজার মানুষের জন্য এখন যেন একান্তই অধিক সাহায্য ও সমর্থনের প্রয়োজন রয়েছে।






















