দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রাত প্রদেশে সম্প্রতি কারফিউ ঘোষণা করেছে থাইল্যান্ড। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মূলত সীমান্ত অঞ্চল কুরা, কোহ কং এবং অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় কম্বোডিয়ার সঙ্গে চলমান সংঘর্ষের কারণে। খবর রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, এই সংঘর্ষের সূত্রপাত গত সপ্তাহে এবং এর ফলে বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
উভয় দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে। থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা একটি সেতু ধ্বংস করেছে কারণ দাবি করে যে, কম্বোডিয়া ওই সেতু ব্যবহার করে ভারী অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে। অন্য দিকে, কম্বোডিয়া অভিযোগ করে, থাইল্যান্ড বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালাচ্ছে।
কারফিউটি নতুন করে কার্যকর করা হচ্ছে কোহ কং প্রদেশের পাঁচটি জেলায়। তবে পর্যটন কেন্দ্র অর্থাৎ কোহ চ্যাং ও কোহ কুড এই কারফিউর আওতামুক্ত থাকবে। এছাড়াও, আগে থেকেই ত্রাত প্রদেশে কারফিউ চলছিল, যা এখনো বহাল রয়েছে।
গত সোমবার থেকে এই সীমান্তে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। একদিকে, এই সীমান্তে ভারী অস্ত্রের গোলাবারুদ ব্যবহৃত হয়েছে, যা আগস্টের পর সবচেয়ে তীব্র লড়াই হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সেদিন দুই দেশের সেনারা একে অন্যের মোকাবেলায় কঠোর সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল।
উল্লেখ্য, জুলাই মাসে পাঁচ দিনের এই সংঘর্ষে মে’মাসে শান্তির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সমঝোতা হয়েছিল। তবে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আবারও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
একই সময়ে, গত শুক্রবার ট্রাম্প থাইল্যান্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চান্ভিরাকুল এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তারা সব ধরনের গোলাগুলি বন্ধের বিষয়ে একমত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, শনিবার অনুতিন ঘোষণা দেন, ‘আমাদের ভূমি ও জনগণের প্রতি হুমকি এখনও বিদ্যমান থাকায় লড়াই বন্ধ হচ্ছে না। তবে পরিস্থিতি শান্ত হলে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ এই মুহূর্তে চলমান সংঘর্ষ ও উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।






















